মেসি-রোনালদোর থেকে ‘চারগুন’ এগিয়ে এমবাপ্পে!

রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত উদীয়মান তারকার মধ্যে ঝকঝক করছেন এমবাপ্পে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের পর ১৯ বছর বয়সে এক ম্যাচে দুই গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রান্স তারকা চার ম্যাচে গোল পেয়ে গেছেন তিনটি। এর মধ্যে একটিতে কোচ তাকে শুরুর একাদশে নামাননি। উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে এমবাপ্পের ফ্রান্স মাঠে নামছে শুক্রবার রাত ৮টায় রাশিয়ার সোচিতে।

আর এই ম্যাচেও গ্রিজম্যান-পগবা-জিরুদদের ছাড়িয়ে আলো এমবাপ্পের দিকে। থাকবেই বা না কেন! এই বয়সেই যে তিনি সময়ের দুই বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসি-রোনালদোর থেকে তিন-চার গুন এগিয়ে গেছেন।

কিলিয়ান এমবাপ্পে ২০ বছরে পা দেওয়ার আগেই গোলের অর্ধশতক পূরণ করে ফেলেছেন। অথচ মেসি-রোনালদো তার বয়সে ২০ ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। সিনিয়র ক্লাব এবং দেশের হয়ে এমবাপ্পের গোল সংখ্যা ৫৫টি। গত মৌসুমে মোনাকোর হয়ে এমবাপ্পে গোল করেছেন ২৭টি। এরপর ধারে পিএসজিতে এসে এমবাপ্পে জালে বল পাঠিয়েছেন ২১বার। ক্লাবের হয়ে তার গোল ৪৮টি। বাকি সাতটি গোল তিনি করেছেন দেশের হয়ে। এরমধ্যে তিন গোল রাশিয়া বিশ্বকাপে। এছাড়া এমবাপ্পে খেলে ফেলেছেন ১২৩ ম্যাচ।

তার বয়সে মেসি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান মাত্র ৫৫টি। আর গোল করার সংখ্যা আরও কম। মেসির পা থেকে ১৪টি বল প্রতিপক্ষের জালে জড়ায়। এমবাপ্পে ম্যাচ এবং গোলের অনুপাতে এই বয়সেই প্রতি দুই ম্যাচ অন্তত একটি (.৪৪) করে গোল পেয়েছেন। সেখাসে মেসি প্রায় চার ম্যাচ পরপর একটি (৩.৯২ ম্যাচ পরে) করে গোল পেয়েছেন।

অন্যদিকে রোনালদো যখন এমবাপ্পের বয়সের ছিলেন তখন ৫৮ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান। বয়সের তুলনায় ম্যাচ খেলার হিসেবে মেসির কাছাকাছি আছেন রোনালদো। কিন্তু এমবাপ্পের তুলনায় অর্ধেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন রোনালদো। এছাড়া পর্তুগিজ তারকার গোলের তুলনাটাও হতে পারে মেসির সঙ্গে। কিন্তু এমবাপ্পে তার থেকে চারগুন এগিয়ে।

রোনালদো তার খেলা ৫৮ ম্যাচ থেকে গোল করতে পারেন মোটে ১৩টি। ম্যাচ প্রতি হিসেবে করলে একটি গোল পেতে সিআরসেভেনের চার ম্যাচেরও (৪.২৬ ম্যাচে এক গোল) বেশি সময় লেগে গেছে। সে হিসেবে এমবাপ্পে বয়সের হিসেবে গোল করে এবং ম্যাচ খেলে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছেন।

তার যে গতি, দুর্দান্ত ড্রিবলিং করার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের বক্সে দ্রুত ঢুকে যাওয়ার মানসিকতা। বল নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার দক্ষতা তাতে এই এমবাপ্পের হাতে অনেকে ভবিষ্যত ব্যালড ডি’অর দেখছেন। অনেকে ফ্রান্সম্যানের মধ্যে জিদানকে খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন। কারো কারো মতে, তিনি থিয়েরি অঁরি। কে জানে এমবাপ্পে তার স্বদেশি জিদান-অঁরি কিংবা বর্তমানের দুই সেরা ফুটবলার মেসি-রোনালদোকেও ছাড়িয়ে যান কিনা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment