রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বশ্বিবিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির দুই বছর মেয়াদী বর্তমান কমিটির দেড় বছরের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত কোন কিছুর বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির বর্তমান কমিটি রাহী- রাব্বেল পরিষদ। ফলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিরাজ করছে বলে দাবী অনেকের। এছাড়া অফিসার সমিতির সদস্যদের অভিযোগ কর্মকর্তাদের নায্য দাবি না আদায়ের অন্যতম কারন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের (২০১৭) ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল অফিসার সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করে রাহী রাব্বেল পরিষদ। কমিটির বর্তমান সদস্য আছেন ১৯ জন। সেখানে ৯ জন সদস্য কমিটির বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গত ২৬ জুন সদস্যরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি অভিযোগ পত্রও দিয়েছেন। অভিযোগ পত্রে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ্য করা ১০ টি দাবি সহ মোট ১১টি দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সমিতির সদস্য কামরুজ্জামান চঞ্চল অভিযোগ করেন, ‘অফিসার সমিতি নির্দিষ্ট কোন দলের বা মতের না। এখানে বিভিন্ন মতাদর্শের সদস্য আছেন। আর সমিতির উদ্দেশ্য সদস্যদের কল্যাণে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সকল কাজ করা। তবে বর্তমান কমিটি যে নির্বাচনী ইশতেহার সামনে রেখে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী করে। কিন্তু নির্বাচনের দেড় বছর পার হয়ে গেলেও তার কোনটিই বাস্তবায়ন করতে পারেনি এই কমিটি। এমনকি সাধারণ সভায় বার বার আলোচনা হওয়ার পরও এই কাজের প্রতিফলন দেখাতে পারেনি কমিটির দায়িত্বশীলরা। এদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম রেজা বলেন, কর্মকর্তাদের প্রধান দাবির মধ্যে ছিল তাদের বেতন স্কেল বৈষম্য মুক্ত করে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে বর্তমান কমিটির অবহেলা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে সম্পর্ক খারাপ হবে বলে তারা আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আদায়ে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে না। এক প্রকার ভয় পাচ্ছেন। সদস্যদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি মোক্তাদির হোসেন রাহী বলেন, ‘সমিতির কাজের ধারাবাহিকতা রেখে এগিয়ে চলছে। আমরাও প্রশাসনের সাথে বিষয়গুলো নিয়ে যোগাযোগ করেছি। দুই বছর পূর্ণই হয়নি কিভাবে সফলতা ব্যর্থতা হিসাব করা হবে?। এর বাইরে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হন নি।
