স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত কচুয়াখালীর ৪ হাজারেরও অধিক মানুষ!

মাছুম বিল্লাহ,ভোলা, লালমোহন উপজেলার:

ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চর-কচুয়াখালী। প্রায় শত বছর আগে তেঁতুলিয়া নদীর বুকে জেগে উঠে চরটি। ১৯৮০ সাল থেকে এখানে মানুষ বসবাস করতে শুরু করেন। তবে ১৯৯০ সালের দিকে এখানে শুরু হয় ঘন বসতি। যেখানে বর্তমানে ৪ হাজারেরও অধিক মানুষের বসবাস। যাদের পেশা কৃষি ও মাছ শিকার করা। এ চরের মানুষরা আকাশে মেঘ দেখলেই আতকে উঠেন। সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে তবুও তারা চালিয়ে যান জীবন সংগ্রাম। চরে বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোনো স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা। একারণে মাঝে মাঝে প্রসূতি মা অথবা মূমূর্ষ রোগিকে নিয়ে চরবাসীকে পড়তে হয় দূর্ভোগে। চরে উন্নত কোনো স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় তাদের ছুটতে হয় লালমোহন অথবা চরফ্যাসন উপজেলা সদরে। যা তাদের জন্য অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য। চরের গৃহবধূ মোসা. রুমা, ফাতেমা ও নাজমা জানান, প্রসূতি মায়েদের সামান্য সমস্যা হলেই তাদের নিয়ে ছুটতে হয় উপজেলা সদরগুলোতে। কারণ এখানে নেই কোনো উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা। চরের বাসিন্দা শাহে আলম মিস্ত্রি, মোতাহার ও আমির হোসেন জানান, এখানে নাকি একটি টিকা কেন্দ্র রয়েছে। তারা বছরে ১ বার আসে কিনা তা নিয়েও অনেকের রয়েছে সন্দেহ। অন্যদিকে এখানো কারও ডায়েরিয়া হলেও যেতে হয় উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে। আর মাঝে মাঝে বেশি সমস্যা হলে ওপার থেকে একজন পল্লী চিকিৎসককে আনা হয়। যাদের খরচ দিতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের। কারণ এখানে আসার একমাত্র ভরসা নৌকা, যা দিনে দুই সময়ে চলাচল করে। তাই হঠাৎ কোনো সমস্যা হলে ওপারের চিকিৎসকদের আনতে হয় নৌকা ভাড়া করে। যা আমাদের জন্য খুবই ব্যয় বহুল। তাই আমাদের দাবী এচরের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে যেনো এখানে অতি শিগগিরই একটি উন্নত স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এবিষয়ে পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ হোসেন চরবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চরে টিকা কেন্দ্র ও প্রতি মাসে সরকারিভাবে একজন ডাক্তার যান। আশা করছি খুব শিগগিরই এখানে আরো ভালোমানের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment