উচ্চ-শিক্ষার বলি হওয়া মায়ের লাশ ফেরত আনার দাবীতে রাজপথে দাড়িয়েছে শিশুকন্যা মুগ্ধ ॥

মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ 
মায়ের লাশ ফেরত আনার দাবীতে সকলের সাথে রাজপথে দাড়িয়েছে সাদিয়াতুজ্জোহরা মুগ্ধ। পৃথিবীর কিছু বুঝে উঠার আগেই সে হারিয়েছে মাকে। মালায়শিয়া কুয়ালামপুরে খুন হওয়া পটুয়াখালীর মেয়ে আইনজীবী এডভোকেট সাজেদা-ই-বুলবুল লাশ শেষ বারের মতো দেখতে চায় স্বজনরা। লাশ দেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা ও ঘাতক স্বামী শাহজাদাসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
 আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১ টায় পুরাতন আদালত পাড়া সংলগ্ন সদর রোড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ৫জনু মালয়শিয়ায় স্বামীর হাতে নৃশংস খুনের শিকার হন বুলবুল। ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর বুলবুলের লাশ ১২ টুকরা করে মরদেহ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ লাগেজ ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দেশের পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও মূল ঘাতক স্বামী শাহজাদা আটক হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে পারেনি নিহতের পরিবার।
নিহত বুলবুলের লাশ এখন মালয়শিয়া পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানান স্বজনরা। এ অবস্থায় লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসহায় এই পরিবারটি।
সাজেদা-ই-বুলবুল পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএম পাস করেন। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাফ ফকিরের ছেলে শাহজাদা সাজুর সঙ্গে একলক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় বুলবুলের। বিয়ের পরে বাংলাদেশ থাকাকালীন সময় বুলবুলকে স্বামী নির্যাতন করায় শাহআলী থানা ডিএমপি ঢাকায় একটি মামলায়ও দায়ের করেছিলো। বুলবুলের কোলে আছে সাত বছরের কন্যা মুগ্ধ। ২০১৬ সালে উচ্চ শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়ায় নিয়ে যায় ঘাতক স্বামী শাহজাদা। এরপর সেখানে চলে নানা ধরনের নির্যাতন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment