মাদারীপুরে চার বছর বয়সী শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

মোঃ ইব্রাহীম,মাদারীপুর প্রতিনিধি।
নিষ্ঠুরতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি চার বছর বয়সী এক শিশু। শিশুটি মাদারীপুর
সদর হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর বার বার আতকে উঠছে।
শিশুর শারিরীক নির্যাতনের এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর পৌর শহরের
একটি এলাকায়। ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিশুকে যৌন হয়রানির
অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ও ভূক্তভোগী পরিবারের সূত্র মতে, মাদারীপুর পৌর শহরের তরমুগরিয়া
বালু ঘাট এলাকার এনাম মাতুব্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া মিতু
বেগমের ঘরে গৃহপরিচারিতার কাজ করতো এক নারী। ওই নারীর সাথে তার চার
বছর বয়সী শিশুটিও থাকতো। একই বাসায় কাজ করতো বারেক মাতুব্বর
নামে আরো এক ব্যক্তি। শুক্রবার দুপুরে মিতু পারিবারিক কাজে তার স্বজনের
সাথে বাহিরে যায়। তখন ঘরের ভিতরে ওই গৃহপরিচালিকা ও তার শিশু সন্তান
অবস্থান করছিল। হঠাৎ বারেক ঘরে প্রবেশ করে ওই গৃহপরিচালিকে অন্যত্র
পাঠিয়ে দেয়। এই সুযোগে বারেক শিশুটিকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে
বাসার ছাদে নিয়ে যায়। এরপরে শিশুকে শারিরীকভাবে যৌন নির্যাতনের
চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে বাসার ভিতরে থাকা অন্যরা এগিয়ে আসে।
তবে এই সুযোগে বারেক পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে অসুস্থ্য অবস্থায়
উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে শিশুর
যৌনাঙ্গনে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বারেক মাতুব্বর সদর উপজেলার মস্তফাপুর
ইউনিয়নের পশ্চিম খাতিয়াল গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর
যাবত মিতু বেগমের বাড়ীতে গৃহপরিচালকের কাজ করতেন। তিনি বিয়ে
করেনি বলে জানা গেছে।
শিশুর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি মিতুর আপার বাসায় অনেক দিন ধরে
কাজ করি। ওই বাসায় বাকের আমাকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিত। কিন্তু আমি
তার প্রস্তাবে রাজি না হলে বারেক আমাকে হুমকিও দিত। আমি তার কথা না
শুনলে আমার একমাত্র মেয়েটিকে মেরে ফেলতে এই জঘন্য কাজটি করতে
চেয়েছিল। এ ঘটনায় আমি বারেকের বিচার চাই।’
এই ঘটনায় গৃহপরিচালিক মিতু বেগম জানান, ‘আমার বাসায় দুইজন
কাজের লোক কাজ করতো। বারেক যে অপরাধ করেছে, তার অবশ্যই শাস্তি পেতে
হবে। আমরা চেষ্টা করছি বারেককে পুলিশের মাধ্যমে আটক করতে। এই
ঘটনার পর থেকে বারেক পলাতক আছে। ওর দেশের বাড়িতেও খোঁজ নিয়ে পাওয়া
যায়নি। পেলেই ধরে পুলিশের সোর্পদ করবো।’
এব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান
জানান, ‘আমি লোকমুখে কথাটি শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
ভুক্তোভোগী শিশুর মা এবিষয় কিছুই জানায়নি। যদি সে আমাদের কাছে

অভিযোগ করে, তাহলে আমরা আইগ অনুযায়ী তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment