রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা তরুণ প্রতিভা নির্বাচিত হয়েছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে। ১৯ বছর বয়সী এই ফরাসি স্ট্রাইকারের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। ফাইনালে গোল করে ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি পেলেকে।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মেসি-রোনালদোদের যুগ শেষে ফুটবলবিশ্বকে শাসন করবেন এমবাপ্পে। এমবাপ্পেকে নিয়ে এখন চারদিকে হইচই। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার, তিনি মস্কোয় ফাইনাল ম্যাচটা খেলেছিলেন পিঠে মারাত্মক চোট নিয়ে। এতদিন যেটা জানতেই পারেননি কেউ।
জানা গেছে, বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল আর ফাইনালে খেললেও, শতভাগ সুস্থ ছিলেন না এমবাপ্পে। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচের তিন দিন আগেই অনুশীলনে পিঠে চোট পেয়েছিলেন এমবাপ্পে।
এই প্রসঙ্গে এমবাপ্পে জানান, “সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার ছিল কোনও ভাবেই, যেন প্রতিপক্ষের কাছে এই খবরটা না পৌঁছায়। সেটা পেলেই ওরা সচেতন হয়ে অন্য রকম রণনীতি নিত। ইচ্ছে করেই হয়তো আমার চোটের জায়গায় আবার আঘাত করত। এই সুবিধাটা ওদের নিতে দেওয়া হয়নি। এই একটাই কারণেই আমাদের দল পুরো বিষয়টাকে গোপন রেখেছিল।”
জানা যায়, তিনটে ভার্টিব্রা ব্লকেজ হয়ে যায় এমবাপ্পের। অসহ্য যন্ত্রণায় অজ্ঞান হয়ে যান ১৯ বছরের এই ফুটবলার। কিন্তু শরীর এত খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সেমিফাইনাল আর ফাইনালে মাঠের বাইরে থাকতে চাননি এমবাপ্পে। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোলও করেন। তবে ফ্রান্সের এই স্ট্রাইকার অসুস্থতা নিয়ে একটি কথাও বলেননি।
