বেহাল দশায় কলাপাড়ার ৩৪ কিলোমিটার অভ্যান্তরীন সড়ক, জনর্দুভোগ চরমে ॥

মোয়াজ্জেম হোসেন , পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ তারিখ: ২৭.৩.২০১৮
বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ৩৪ কিলোমিটার অভ্যান্তরীন পাকা সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে এসব সড়ক এমন অবস্থ্য়া থাকলেও সংস্কার কিংবা মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারীদের। দিনদিন আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এসব সড়ক হয়ে পড়ছে চলাচলের অনুপযোগী। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৪৮ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ভাল সড়কের দৈর্ঘ রয়েছে ১১৪.৫০ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সড়ক গুলো মেরামত না করায় প্রায় ৩৩.৫০ কিলোমিটার সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সংশিল্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত অভ্যান্তরীন সড়কগুলোর মধ্যে চাকামইয়া ২ কিলোমিটার, ধানখালী ১৬ কিলোমিটার, লালুয়া ২ কিলোমিটার, বালীয়াতলী ৬ কিলোমিটার, ধুলাসার ৩ কিলোমিটার, মহীপুর ২ কিলোমিটার ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার। এ সড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে কাপেটিং উঠে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো সড়কের দু’পাশ ভেঙ্গে পড়েছে। আবার কোনো সড়কের এখন সিলকোট ও দুই পাশের স্লোপের মাটি পড়ে গেছে। কোনো কোনো সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও সম্ভব হচ্ছে না।   তারপরও ওই সব সড়কে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে।
ভাড়াটে মোটর সাইকেল চালক নুর ছাহেদ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ী চালাতে হচ্ছে। মৎস্যবন্দর আলীপুর-গঙ্গামতি সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শত যানবাহন চলাচল করে। বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। পর্যটকদের মোটর সাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন জানান, আলীপুর মৎস্য বন্দর থেকে কাউয়ারচর পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। এছাড়া চাপলীবাজার থেকে গঙ্গামতি সৈকতে যাওয়ার সড়ক ও জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা এখন প্রয়োজন বলে তিনি দাবী করেন।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, বর্তমানে যে সড়ক গুলো খুবই খারাপ অবস্থায় আছে সে সড়ক গুলো মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। সেপ্টেম্বর থেকে সড়কের কাজ শুরু হবে। বর্তমানে ১২ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment