দোহারে খালের জমি দখল করে বহুতলা ভবন নির্মাণ

 মাহবুবুর রহমান টিপু দোহার(ঢাকা) প্রতিনিধি:

ঢাকার দোহার উপজেলায় মেঘুলা বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর শাখা খাল ভরাট করে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মেঘুলা বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর শাখা খাল ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বহুতলা ভবন ও দোকান নির্মাণ করে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারসে ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে।জানা যায়,স্থানীয় প্রভাবশালী দেলোয়ার শিকদার গং,মোবারক হোসেন রুবেল গং,শাহজাহান খালাসী, দূলাল হোসেন,সারোয়ার মিয়া,মেঘুলা বাজার কমিঠি গং সহ একাধিক ব্যক্তিরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘুলা বাজারে পাশে পদ্মা নদীর শাখা খাল দখল করে ভবন ও দোকানপাঠ নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দোকান ভাড়া আদায় করে আসছে।অনুসন্ধানে জানা যায়,দখলদাররা দখলের প্রথম দিকে টিনের ঘর নির্মাণ করলেও কেউ কেউ সময়ের সাথে সাথে তারা সেই স্থানে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন।এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে দখলীয় এলাকা পরিদর্শন করলেও কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানান স্থানীয়রা।এঘটনায় দখলদাররা সরকার কর্তৃক তাদের দখলকৃত জমি বরাদ্ধ হয়েছে বলে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।অপর দিকে মেঘুলা বাজারের অস্থায়ী গরুর হাটের সাথে পাঁচতলা ভবনের জায়গার মালিক বলে দাবী করেন নারায়ণ সাহা। ভবনের মালিক দেলোয়ার সিকদার তাদের অংশ ক্রয় না করেই জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন বলে জানান নারায়ন সাহা। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানান,একসময় পদ্মা নদীর শাখা খালটি দিয়ে,উত্তর শিমুলিয়া আড়িয়ল বিল হয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে লোকজন নৌকা ও লঞ্চযোগে যাতায়াত করতো এবং বিভিন্ন কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আনা নেয়া করা হতো। পদ্মা সংযুক্ত খালটিতে সারা বছর পানি থাকায় প্রচুর দেশীয় মাছও পাওয়া যেত। আড়িয়াল বিলে নদীর পানির সাথে পলি মাটি গিয়ে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পেত এবং ফসলও ভালো হতো। কালের বির্বতনে আজ তা স্বপ্নের ও স্মৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ। এ বিষয়ে খাল দখল করে বহুতলা ভবনের মালিক দেলোয়ার সিকদার বলেন, আমি আশির দশকে মৃত- রমনী মোহন সাহার ছেলে ভেবলা সাহা, বলরাম সাহা ও রতন সাহার কাছ থেকে মেঘুলা বাজার সংলগ্ন এ জায়গা ক্রয় করি। ভবন নির্মাণের সময়ে আমি দেশে ছিলাম না। আমার এক আত্মীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ তার তত্তা¦বধায়নেই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুলাল ও সারোযার মিয়া জানান, আমরা উক্ত জায়গা ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা- বাণিজ্য করে আসছি।তবে এখানে অনেকেই খালের জমি দখল করে বর্তমানে দোকান-ঘর ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। মেঘুলা বাজার কমিটির সভাপতি কাজি রুবেল জানান,উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বাৎসরিক চুক্তিতে জমি বরাদ্ধ নিয়ে তা বাজার কমিটি প্রতিদিনের ভাড়া হিসাবে টাকা উত্তোলন করা হয়। এ বিষয়ে নারিশা ইউপি চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন দরানী বলেন, খালের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের কথা শুনেছি। তবে কাগজ-পত্র দেখলে বিষয়টি সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)সালমা খাতুন জানান, খালের জমির শ্রেনীর পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। দখলকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমকাল প্রতিনিধি,দোহার, ঢাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment