মেধাবী রুপা ও জান্নাতুনের পাশে ইউএনও

মো: জহুরুল ইসলাম,বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় অদম্য দুই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি তাদের লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশ^াসও দিয়েছেন । পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাল্য বিয়ের শিকার দুই অদম্য মেধাবী বাবার বাড়িতে ফিরে এসে ভালো ফলাফল করেছেন। তাদের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁদের সহযোগিতা করেন।
বুধবার সকালে ইউএনও নিজ দপ্তরে আসলে তিনি অদম্য দুই মেধাবী রুপা খাতুন ও জান্নাতুন নেছাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তাদের কাছ থেকে বাল্যবিয়ের গল্প এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার গল্প শোনেন। এসময় ইউএনও আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। পরে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য দুই কৃতি শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার করে টাকা তুলে দেন। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাঁদের সহযোগিতারও আশ^ামেধাবী রুপা ও জান্নাতুনের পাশে ইউএনও
বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় অদম্য দুই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি তাদের লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশ^াসও দিয়েছেন । পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাল্য বিয়ের শিকার দুই অদম্য মেধাবী বাবার বাড়িতে ফিরে এসে ভালো ফলাফল করেছেন। তাদের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁদের সহযোগিতা করেন।
বুধবার সকালে ইউএনও নিজ দপ্তরে আসলে তিনি অদম্য দুই মেধাবী রুপা খাতুন ও জান্নাতুন নেছাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তাদের কাছ থেকে বাল্যবিয়ের গল্প এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার গল্প শোনেন। এসময় ইউএনও আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। পরে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য দুই কৃতি শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার করে টাকা তুলে দেন। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাঁদের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহনগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ তরফদার, বাগমারা কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল আলম, কৃতি শিক্ষার্থী জান্নাতুন নেছার বাবা ভ্যানচালক আহসান আলী ও রুপার বাবা কৃষক আবুল কাশেম।
ইউএনও জাকিউল ইসলাম বলেন, পত্রিকায়  সংবাদ পড়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন দু’ অস্বায়েত্বর কথা। পরে খোঁজ খবর নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জান্নাতুন ও রুপার অদম্য ইচ্ছা শক্তি, সংগ্রাম ও সফলতা তাকে মুগ্ধ করেছে। এঁদের পাশে দাঁড়ানোর উচিত বলে মনে করেন তিনি।
অদম্য মেধাবীরা বলেন, ইউএনও স্যারের এই উৎস এবং সহযোগিতা উচ্চশিক্ষায় পা রাখতে সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য জান্নাতুন নেছা ও রুপা খাতুন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছিলেন। যৌতুকের কারণে তাদের ঘর ভাঙার পর বাবার বাড়িতে ফিরে এসে পুনরায় লেখাপড়া শুরু করেন। জে এস সি, এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষায় তারা জিপিএ ৫ পেয়েছেন। অর্থের অভাবে তাদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। নিজেদের আগ্রহ থাকলেও লেখাপড়া হবে কীনা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। তাদের সফলতা, আগ্রহ আর সংগ্রাম নিয়ে সংবাদ ছাপার পর ইউএনও জাকিউল ইসলাম তাদের পাশে দাঁড়ান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment