খুলনার সড়কে গভীর রাতে মারমুখি এরা কারা?

খুলনা প্রতিনিধিঃ- নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিকাল পাঁচটার দিকে আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা উঠে গেলেও কেউ কেউ রাজধানীর অলিগলিতে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে রাখে। তবে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী কি না সে নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় তারা নীরব।

আবার এই তরুণরা বেশ মারমুখী। তাদেরকে প্রশ্ন করতে গেলেই উত্তেজিত হয়ে উঠছে। ছবি তোলার চেষ্টা করলে তো রক্ষাই নেই।
খুলনা গল্লামারি, সোনাডাঙ্গা রোডসহ বেশ কয়েক জায়গায় রাত ২ টায় বেশ কিছু তরুণকে দেখা যায় রাস্তায় । অনেককে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা গেছে।
গল্লামারি রোডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্টমন্ত্রী ঘোষণা দেবার পরও কেন রাস্তায় আছেন এসময় তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি।
ইকরামুল হক নামে একজন সাংবাদিক জানান, সোনাডাঙ্গা রোডে সাইকেল, সাদা শার্ট হাতে টর্চ। দেখা মিলল ৩টি ছেলের সাথে।রাত ২ টায় ছাত্ররা রাস্তায় থাকার কথা না।
নাম প্রকাশ না শর্তে  সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেসব স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী আন্দোলন করছিল তারা বাড়ি ফিরে গেছে। তারা কেউ এতো রাতে রাস্তায় নেই। যারা আছে হয় তারা কোন কিছুকে পুঁজি করে এখানে এসব করছে। পুলিশ কিছু বলতে পারছে না কারণ তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানার লাগিয়ে এগুলো করেছে।’
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শতাধিক বাস ভাঙচুর করে ছাত্ররা। আর পরদিন থেকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বন্ধ করে দেয় যান চলাচল।
তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেয়া হলেও বুধবার থেকে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার বিষয়টিই বেশি আলোচনা হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আবার একটি জিপ গাড়ি চার পাশ থেকে ঘিরে ধরে ভাঙা হয়েছে। আবার একজন পুলিশ কর্মকর্তা লাইসেন্স দেখাতে রাজি হননি বলে তার মোটর সাইকেল পুড়িয়েও দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই সেই দুর্ঘটনায় নিহত দুই জনের বাবা মা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসে শিক্ষার্থীদেরকে সড়ক থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করেছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্তর্ঘাত হতে পারে। ছাত্রদল ও শিবিরের ছেলেরাও এই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment