বড়াইগ্রামে গণপরিবহন সংকটে চরম ভোগান্তি

নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়কে যাত্রীবাহী বাস না থাকায় সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাই ছিল যাত্রীদের ভরসা। আজ রাত সাড় ৮টা থেকে নেই ইন্টারনেট সংযোগ। সব মিলিয়ে উপজেলার সব এলাকাতেই দিনব্যাপী চলমান জনজীবনে বেশ অস্বস্তি বিরাজ করেছে।

ঢাকায় শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বড়াইগ্রাম বা নাটোরের কোন উপজেলা থেকেই অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। তবে সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা যথারীতি চলেছে। এক্ষেত্রে যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে পুলিশ-র‌্যাব অবস্থান নেয় এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাশ শেষে সরাসরি বাড়িতে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বনপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব সোনার জানান, স্কুল-কলেজে গিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বুঝানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে সব দাবি মেনে নেবে। সে ক্ষেত্রে ভ্রান্ত কোন তথ্য পেয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি না করে ঠিকমতো লেখাপড়া ও পরিবারে সময় দেয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। যার ফলে সকল শিক্ষার্থীরাই যথারীতি ক্লাস শেষে বাড়ি চলে গেছে।

এ দিকে ইন্টারনেট সংযোগ টু-জি প্রদান করা হলেও উপজেলার কোথাও সে সেবাও পাওয়া যায়নি। এক প্রকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধই ছিল। তবে ব্রডব্যান্ডের সংযোগে অনলাইনে কিছু কাজ করা গেলেও তা অনেকটাই মন্থরগতি ছিল।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment