আমীর খসরু ও মওদুদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন: হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানিদাতা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ ফোনালাপে এক তরুণ ব্যারিস্টারকে আন্দোলন উস্কে দেওয়ার নির্দেশ এবং মওদুদ আহমদের উস্কানিই এর প্রমাণ। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা ছাড়াও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে এক অভিনেত্রীকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। এসব বিষয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায়ও দেখা গেছে, সেখানে কোনো ছাত্র ছিল না। আর শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগ সভাপতি নন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার কার্যালয়ে যারা হামলা করে, তারা কখনও শিক্ষার্থী হতে পারে না। এটি বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু সংবাদপত্রে ঘটনাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন না করে অন্যভাবে লেখা হয়েছে, যা উস্কানি দেওয়ার মতো। গণমাধ্যমকে বলব ভবিষ্যতে সংবাদ উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য। কারণ সংবাদপত্র দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।

সংগঠনের উপদষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাহেদ রেজা, ইসমত কাদির গামা, অরুণ সরকার রানা, শাহ আলম, বৃষ্টি রানী সরকার প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment