রাবির ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতি বহাল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে নিতে চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। প্রচলিত এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের ভিত্তিতে ৫টি ইউনিটের প্রতিটিতে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩২ হাজার করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া এবারই শেষ হচ্ছে দ্বিতীয়বার ভর্তিপরীক্ষার সুযোগ।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষার মূল কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যপক আনন্দ কুমার সাহা।

এর আগে, গত ৬ জুলাই রাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লিখিত ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা দেন উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান। এছাড়াও ওইদিন অনুষ্ঠিত ভর্তি উপ-কমিটির সভায় ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি ইউনিটে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার কথাও বলা হয়েছিলো।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ওই সিদ্ধান্ত ছিল ভর্তি পরীক্ষার উপ-কমিটির। আজকের (সোমবার) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভর্তিপরীক্ষার মূল কমিটির সভায় এবং এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

রাবিতে এবারই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ শেষ হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভর্তিচ্ছুদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ৫৫ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে। ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের বাছাই করে ৫টি ইউনিটের প্রতিটিতে ৩২ হাজার পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ব্যবসা ও বাণিজ্য আইন নামের একটি নতুন বিভাগে ৫০টি আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা জানান, মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় প্রতি ইউনিটে ৩০০ টাকা মূল ফি, সেই ইউনিটের সকল বিভাগ প্রতি ৬০ টাকা এবং ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ক্লাস শুরু হবে ২১ জানুয়ারি।

আবেদন যোগ্যতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আসলাম হোসেন জানান, ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে।

ইউনিটভুক্ত অনুষদগুলো হলো- ‘এ’- কলা ও চারুকলা অনুষদ; ‘বি’- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ); ‘সি’- বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ; ‘ডি’- জীব, ভূ-বিজ্ঞান ও কৃষি অনুষদ; ‘ই’- সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment