ফরিদপুরের চরাঞ্চলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ॥ ‘চরের উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে’

স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, চর এলাকার উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সেতু রয়েছে। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সেতুর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে এই উন্নয়ন কাজ ব্যহত হবে।
১১ আগষ্ট শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের তারা মাঝিডাঙ্গী এলাকায় ‘খন্দকার মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যলয়’ উদ্বোধন উপলক্ষে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে আযোজিত এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দিকে ঈংগিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আগোগোড়া একজনকে ভোট দেন। আমি কিন্তু ওই পরিবারের সন্তান। কিন্তু তিনি (কামাল ইউসুফ) শরিক ঠকানো জমিদার। আমাদের জন্য এক ছটাক জমিও রাখেননি। বিক্রি করে দিয়েছেন ওনার খালাতো ভাইদের কাছে।
খন্দকার মোশাররফ চরবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা তাকে (কামাল ইউসুফ) পাঁচবার ভোট দিয়ে সাংসদ বানিয়েছেন, চারবার তিনি মন্ত্রী হয়েছেন কিন্তু আপনাদের জন্য তিনি চর এলাকায় এক ছটাক ইট নিয়েও আসেননি।
চর এলাকায় নিজের কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ৮০০ কোটি টাকার কাজ শুরু হযেছে চর এলাকার উন্নয়নে। এর মধ্যে ভূইয়াবাড়ি এলাকায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে, বুড়ির ঘাট এলাকায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এবং নতুন মোহন মিয়ার হাট এলাকায় আরেকটি সেতুসহ মোট তিনটি সেতু হবে। চরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হবে এবং এলাকাবসীর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন ওরফে বাবর, সদর উপজেলা আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুজ্জামান, শিক্ষার্থী কলি আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment