কুরবানি ঈদ সামনে রেখে লালমনিরহাটে প্রায় ৫৫ হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। খামারের এই গরুগুলোকে স্বাস্থ্যকর ও দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ঈদের শেষ মুহূর্তে এসব গরু বিক্রি করে বেশ লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন খামারিরা।তবে অবৈধ পথে গরু আমদানি হলে লোকসানের আশংকা করছে খামারিরা। সে জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এবার জেলা থেকে প্রায় ৫৫ হাজার গরু বেচাকেনা হবে। খামারীরা জানান, তারা বিভিন্ন হাট- বাজার ঘুরে ৫/৬ মাস আগে বিভিন্ন দামের গরু কিনে এনে লালন পালন করেন। দেশীয় খাবার যেমন ঘাস, চাউলের কুড়া, খুদ, গমের ভুষি ইত্যাদি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেন তারা। খামারীরা জানান, মোটাতাজা গরু বিক্রি করতে কোথাও যেতে হয় না। ঈদের আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে গরু কিনে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়। এতে লাভের পরিমাণও বেশি থাকে। আলি আহম্মদ নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ভালো গরু দাম ও কদর এমনিতেও বেশী থাকে। সৎ উপারে গরু মোটাতাজা করলে গরু খামার থেকেই অটো বিক্রি হয়ে যায়। তিনি বলেন, যদি অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু আসে তবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই কোনভাবেই যেন অবৈধ পথে গরু আসতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।জেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের প্রায় ৫৫ হাজার গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে গরু বিক্রি করে খামারীরা লাভবান হবেন। তবে ক্ষুদ্র খামারি গোলাপ মিয়া ও সেকন্দার আলী জানান, খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ বেশী। কিন্তু সেই অনুযায়ী বৃদ্ধি পায়নি গরুর দাম। এছাড়া দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকাররা আগাম গরু কিনতে আগ্রহী নয়। তবে ঈদের এক দেড় সপ্তাহ আগে স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাজারে ভিড়লে গরুর দাম বৃদ্ধি পাবে। সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বর্গা চাষি নজরুল ইসলাম জানান, এক প্রতিবেশীর কাছে বর্গা নেয়া গরুটি বিক্রি করতে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুরাকুটিহাটে নিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু দাম কম বলায় তিনি গরুটি আবারও বাড়ি ফিরে নিয়ে যান। তিনি বলেন, গরুটি লালন-পালন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তার চেয়ে দাম কম বলে স্থানীয় পাইকাররা। ঈদের বাজার এখনো পুরোপুরি জমে উঠেনি। এ কারণে স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা কমদামে গরু কিনে মজুদ করার পরিকল্পনা করছে। ঈদের বাজারে চাহিদা বাড়লে দামও বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ জানান, খাদ্যের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের গরুর দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। গত বছরের লাখ টাকার বর্তমান বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা হাট-বাজারগুলোতে ভিড়তে শুরু করলে গরুর দাম বৃদ্ধি পাবে।
আপনি আরও পড়তে পারেন
-
আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
August 28, 2024 নিউজ ডেস্ক Comments Off on আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টাআদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা করার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের... -
১১ জেলায় বন্যা নিহত সংখ্যা ৩১
দেশের ১১ জেলায় চলমান বন্যায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও চারজন বেড়ে ৩১ জন হয়েছে। এর আগে... -
সব সরকারই দুর্নীতির সাথে আপস করেছে : স্বাস্থ্য সচিব
দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করবো না, এই কথা বলে যতগুলো সরকার এসেছে সবাই আপস করেছে...