রোয়াংছড়ি পাগলাছড়া স্কুল নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধি॥ বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার পাগলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাললেয় দ্বিতীয়তলা নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ও রাবিশ ব্যবহারের অফিযোগ উঠেছে। ফলে ছাদ ধসে পড়ার শংকায় আতংক বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদরে মাঝে। প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রায় ৩০ লাখ টাকায় এই নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, গতবছর এই স্কুল ভবনের নিচতলার নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। দ্বিতীয়ধাপে চলতিবছর এই স্কুলে দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই এই স্কুলের দ্বিতীয়তলা ভবনের ছাদও নির্মিত হয়েছে, এখন চলছে ফিনিশিং কাজ। দ্বিতীয়তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে স্বাভাবিক কংকরের বদলে রাবিশ(মূল কংকর থেকে নি:সৃত গুঁড়ো) যা নির্মাণ কাজে ব্যবহার যোগ্য নয়। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পাগলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, স্কুলের দ্বিতীয়তলা ভবন অংশে নির্মিত ছাদে উন্নতমানের কংকর ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যবহার রাবিশ। সিঁড়ির অংশে এবং মূলভবনের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্মমানের ইট-সিমেন্ট। ফলে দেয়ালটি এখন নড়বড়ে অবস্থায়। যেকোন সময় দেয়ালটি ধসে পড়ে শিক্ষার্থীরা মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখিন হতে পারে বলে জানান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। পাগলাছাড়া এলাকায় বসবাসরত মার্মা, ত্রিপুরা, ম্রো, খিয়াং, খুমি এবং তঞ্চংগ্যা সম্প্রদায়ের ১০৭জন শিক্ষার্থী এই স্কুলে অধ্যয়নরত। এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের এই বিপজ্জনক নির্মাণ কাঠামোর কারণে এলাকাবাসীর মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাকরাও শিশুদের নিরাপত্তাজনিত কারণে শংকা প্রকাশ করছেন। ছাদ ঢালাইয়ের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বাধা-প্রতিবাদ জানানোর পরও পার্বত্য জেলা পরিষদের এক প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে একগুঁয়েমীভাবে কংকরের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে রাবিশ, যা নির্মাণ কাজে কোনমভাবেই ব্যবহার যোগ্য নয়। পাগলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আপ্ধসঢ়র্;রুসে মারমা জানান, ছাদ নিমৃাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের জন্য অনুরোধ জানানো সত্ত্ধেসঢ়;বও তা আমলে নেয়া হয়নি। পরবর্তীতে প্রকৌশলী এসে কিছু রাবিশের পরিবর্তন ঘটানো হয়। নাম না প্রকাশে শর্তে পাগলাছড়া স্কুল নির্মাণ কাজের এক শ্রমিক বলেন, ঠিকাদার আমাদের যেভাবে কাজ করতে বলেছে আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী-১ লেলিন চাকামা জানান, ওই স্কুলের দ্বিতীয়তলার ছাদ নির্মাণের সময় তিনি অকুস্থলে ছিলেন। ছাদ ঢালাইয়ের কাজে স্বাভাবকি কংকরই ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। দ্বিতল ভবনের নির্মাণে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার প্ধসঢ়;রু কান্তি তংঞ্চঙ্গ্যা জানান, তিনি সিডিউল মোতাবেকই কাজ করে যাচ্ছেন। কাজে কোন অনিয়ম নেই। এ ব্যাপারে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনে সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment