মিজানুর রহমান,ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের বয়ড়া ভালুকা মৌজা এলাকায় উত্তরাধিকার সুত্রে ও সাবকাওলা মুলে প্রাপ্ত জমি জবর দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সন্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় একটি পরিবার।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ময়মনসিংহ সিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সন্মেলন করেন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারটি। তারা ন্যায় বিচারের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহিনুর আক্তার। লিখিত বক্তব্য তিনি অভিযোগ করেন বলেন, তিরিশ বছর ধরে হাল ৬৭৮৪ দাগের ৪১ শতাংশ ভুমি আমির আলীর ছেলে সেলিম মিয়া, পুত্রবধু শাহিদা বেগম ও মামলার বাদী আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল কাশেম গং ভোগ দখল করে আসছেন। ওই জমিতে পারিবারিক কবরস্থান, টিনের চালা ঘর, ফলজ ও বনজ বৃক্ষাদি বর্তমান। ৮/৯ মাস আগে সেলিম মিয়ার চাচা নৈমুদ্দিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে আমির আলীর ছোট ভাই আব্দুল জলিল ও মরহুম আমির আলীর ওয়ারিশ সেলিম মিয়া গং ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সদর সিনিয়র জজ আদালতে ৫৬২/১৭ একটি অন্য প্রকার মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু এইচ ডি এফ সিসিন পাওয়ার লি: নামে একটি প্রতিষ্ঠান ওই জমির ৩০ শতাংশ ক্রয় করেছেন মর্মে মামলায় বিবাদী পক্ষ হয়ে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবী জানালে, আদালত শুনানী শেষে বাদীদের বিরুদ্ধে অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
পরে বাদীগন আপত্তি দাখিল করে শুনানী শেষে একই আদালত ইং৫/৮/১৮ তারিখে বাদীপক্ষের পক্ষে উক্ত আদেশ “ভেকেট” করেন এবংঅন্যদিকে বাদীপক্ষের ময়মনসিংহ বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা আদালতে বিগত ২৪/৭/২০১৮ ইং তারিখে বাটুয়ারা মামলা নং ৩৮৯/২০১৭ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশী ভুমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।বিবাদীগন ময়মনসিংহ বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা আদালতের বিগত ২৪/৭/২০১৮ ইং তারিখে আদেশ অমান্য করে ও জমি দখলের আশঙ্কা দেখা দিলে গত ১৬ আগষ্ট সকালে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়, কিন্তু দৃশ্যত কোন ব্যস্থা নেয়া হয়নি।
ফলে ১৬ আগষ্ট দুপুর বারটায় সেলিম মিয়ার চাচা নৈমুদ্দিনের ছেলে বশির ও এইচ ডি এফসি সিসিন পাওয়ার লি: আমিনুল ইসলাম লিটন মিলে ৬/৭ শত গুন্ডাপান্ডা সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, শাবল দা কুড়ালসহ ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিরোধপুর্ন জমিতে প্রবেশ করে আদালতের স্থিতাবস্থার নোটিশ কুপাইয়া নিয়ে যায়। বাড়িঘর ভাংচুর বৃক্ষাদী কর্তন করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বসবাসকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
শাহিনুর আক্তার দাবী করেন ওয়ারিশ সুত্রে সেলিম মিয়ার বড় চাচা নৈমুদ্দিন ও আব্দুস সামাদ ১৯৮৭ সালে দুই দফায় তাদের নিজ অংশ সেলিম মিয়ার পিতা আমীর আলীর কাছে সাবকবলামুলে বিক্রি করেছেন।
ন্যায় বিচারের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবী জানানো হয় সাংবাদিক সন্মেলনে।
এ বিষয়ে এইচ ডি এফসি সিসিন পাওয়ার লি: সাইট কো-অর্ডিনেটর আব্দুল হালিম বলেন, আমি ঢাকায় আছি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি জানি না । আগামী রবিবার সাইটে গিয়ে দেখে আপনাকে জানাবো।