কাতার বিশ্বকাপে খেলবেন না লুকাকো!

২০২০ সালে ইউরো শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার পরিকল্পনা করছেন বেলজিয়াম ফুটবল সুপারস্টার রুমেলো লুকাকো। নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতে তিনি ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে তিনি অংশ নেবেন না জানিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নতুন খেলোয়াড়দের জন্য দুই বছর প্রচুর সময়।এর মধ্যেই তারা পরিণত হতে পারবে।’

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লুকাকো এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে বিশ্বনন্দিত বেলজিয়াম ফুটবল তারকা রুমেলো লুকাকো আরও বলেন, বেলজিয়ামের নতুন প্রজন্ম জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে না। বরং তারা কম বয়সেই প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়ার প্রতি বেশি আগ্রহী।

দারিদ্রের কষাঘাতে থাকা লুকাকো মাত্র ছয় বছর বয়সেই তিনি ক্ষুদে ফুটবলার হিসেবে নাম লেখান।

বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লুকাকো বলেন, আমি একজন ছয় বছর বয়স থেকেই আমি আমার মিশন শুরু করি। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলার ডাক পাই। এবারের বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে যে নামটি সবার আগে আসবে তার নাম রুমেলো লুকাকো।

২৫ বছর বয়সী এ ফুটবলার তার দেশের নতুন প্রজন্মকে নিয়ে হতাশ।

তার মতে, নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা ক্ষুধার্ত নয়। আমি মনে করি, প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পরিমাণ ক্ষুধার্ত নতুন প্রজন্ম সেই পরিমাণ নয়। কারণ, খেলার সঙ্গে সঙ্গে কম বয়সেই তাদের কাছে প্রচুর অর্থ আসছে। ১২/১৩ বছর বয়সেই তারা অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে।

লুকাকো এমন এক সময় তার দেশের পক্ষে খেলছেন যখন বেলজিয়াম ফুটবলে স্বর্ণালী যুগে রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন এডেন হ্যাজার্ড ও কেভিন ডে ব্রুইনের মতো বিশ্বখ্যাত ফুটবলাররা। এই ত্রয়ীর পায়ের জাদুতে বেলজিয়াম বিশ্ব ফুটবলে নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে।

এদিকে নতুন প্রজন্ম যেভাবে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে তাতে আশাবাদী লুকাকো।

এ প্রসঙ্গে লুকাকো বলেন, আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড়রা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। এজন্য আরও ভালো প্রশিক্ষণের জন্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি জানান, গোলের কাছাকাছি যাওয়ার সময় রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের (টেকল থেকে বাঁচতে) নতুন খেলোয়াড়দের বিভিন্ন শারীরিক কৌশল তিনি শেখাচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment