হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে যেসব কারণে

গোটা বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। খাদ্যাভাস, জীবনযাপন পদ্ধতির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এর আরও কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভাল কোলেষ্টেরলের পরিমাণ কম থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

আরেক গবেষণা বলছে, শরীরে যদি কোন ধরনের সংক্রমণ থাকে তাহলেও হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দেয়। কারণ সংক্রমণের কারণে শরীরে ইনফ্লামেটরি দেখা দেয়, ফলে হৃদরোগ ও ষ্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে।

নেদারল্যান্ডস থেকে করা এক গবেষণায় জানা গেছে, যাদের কিডনি কিছুটা দুর্বল , কিডনির মারাত্মক সমস্যা না থাকলেও তারা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

জার্মান এক গবেষণা বলছে, গাড়ি, বাইক অথবা বাস যাতেই থাকুন না কেন নগর জীবনের অসহনীয় ট্রাফিক জ্যামে পড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এর আগে আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রধান সড়কের কাছাকাছি যারা বসবাস করেন তাদের হৃদরোগজনিত  জটিলতা বাড়ে।

নিউজিল্যান্ডে করা এক গবেষণায় জানা গেছে, যেসব নারী টানা পাঁচ বছর ধরে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন তারা হৃদরোগের ঝুঁকিতে  আছেন। অন্যদিকে আরেকটি গবেষণা বলছে, যারা প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদরোগের সমস্যায় ভূগছেন এমন যারা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা যদি হঠাৎ করে অ্যাসপিরিন থেরাপি বা ননস্টেরিউডাল ওষুধ বন্ধ করে দেন তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ সরেনটিনো বলেন, ‘যদি কারও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে এবং কেউ যদি অ্যাসপারিন জাতীয় ওষুধ বন্ধ করতে চান তাহলে তা ধীরে ধীরে করুন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন’।

যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন , দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপ থাকলে সঙ্গীর হৃদরোগের ঝুঁকি শতকরা ৩৪ ভাগ বেড়ে যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment