জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের ভুবনে তিনি এসেছিলেন আশীর্বাদ হয়ে। কাব্যময়তায় ছড়িয়েছেন বিদ্রোহের দাবানল, অন্যদিকে রোমান্টিকতা। লিখেছিলেন, ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতুর্য’। সঙ্গীতে সৃষ্টি করেছিলেন নিজস্ব ধারা। দিয়েছিলেন নিত্যনতুন রাগ-রাগিণী আর শব্দের ব্যঞ্জনা। উপন্যাসে যেমন জীবনকে তুলে এনেছেন, তেমনি তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে সমাজের ক্ষয়ে যাওয়াকে স্পষ্ট করেছেন।

শুধু কলমে নয়, দেশমাতৃকার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। সব লেখনীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন অসাম্প্রদায়িকতার বাণী। আজ সেই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মাতা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম প্রয়াণ দিবস।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবসে তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িকতা, প্রেম, দ্রোহের কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম আজীবন ছিলেন আপসহীন। সত্যকে সত্য বলেছেন, মিথ্যাকে মিথ্যা। দৃঢ় কণ্ঠে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কথা সবারই জানা।

১৯৭২ সালের ২৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। তাকে দেয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা।

বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হয় কবিকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment