রাণীনগরে ভুয়া দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন প্রতিবেদন

 স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ :

নওগাঁর রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে এসএসসি পাস না করে তৈরি করা (জাল) সার্টিফিকেট দিয়ে দলিল লেখকের লাইসেন্স করে দীর্ঘদিন যাবৎ দলিল লেখার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সাতজন দলিল লেখক। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে গত ১৫-১৬ দিন আগে তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে রাণীনগরে কর্মরত সাব-রেজিষ্ট্রার। অভিযুক্ত ৭জন দলিল লেখকদের মধ্যে ৬জন দলিল লেখক লাইসেন্স করার অনেক পরের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে। আর একজন দলিল লেখক লাইসেন্স করার অনেক আগের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন কিন্তু তার নাম সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস থেকে চাইলেও রহস্যজনক কারনে দেওয়া হয়নি। সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই ৪৭২ স্মারক নম্বরযুক্ত একটি নির্দেশনামায় নওগাঁ জেলা রেজিষ্ট্রার রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত সাব- রেজিষ্ট্রার বরাবর রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত অভিযুক্ত দলিল লেখক ৯২ নং সনদধারী মো: রুহুল আমীন, ৮৭ নং সনদধারী মো: সাদেকুল ইসলাম সেলিম, ৭৩ নং সনদধারী মো: মিরাজুল ইসলাম, ৮৫ নং সনদধারী মো: ইলিয়াস, ৭৫ নং সনদধারী মো: এরশাদ আলী, ৯৮ নং সনদধারী মো: আব্দুল মতিন ও ৮৬ নং সনদধারী মো: রুঞ্জু হোসেনের সহ মোট ৭ জনের শিক্ষাসনদসহ সকল কাগজপত্রাদি জমা নিয়ে যাচাই-বাচাই করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা রেজিষ্ট্রারের নির্দেশনামা অনুযায়ী তাদের কাগজপত্রাদি জমা নিয়ে যাচাই-বাচাই করে গত ১৫-১৬ দিন আগে তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে রাণীনগরে কর্মরত সাব- রেজিষ্ট্রার। স্থানীয় অনেকেই জানান, এই সব ভুয়া দলিল লেখকরা জাল কাগজপত্র দিয়ে সনদপত্র বের করে অবৈধ ভাবে দলিল লেখার কাজ করে আসছে। এতে করে অনেক নিরীহ মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এদের কারণে এই পবিত্র রেজিষ্ট্রি অফিসের মান অনেক ক্ষুন্ন হয়েছে। তারা এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা চান। এ ব্যাপারে রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানান, আমি চাই না কেউ দূর্নিতি করুক। তারা যদি অন্যায় কিছু করে থাকে তাহলে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রার মো: ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্দেশনামা পাওয়ার পর আমি অভিযুক্ত ৭জন দলিল লেখকদের কাগজপত্রাদি জমা নিয়ে যাচাই-বাচাই করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত ৭জন দলিল লেখকদের মধ্যে ৬ জন দলিল লেখক লাইসেন্স করার অনেক পরের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন। আর একজন দলিল লেখক লাইসেন্স করার অনেক আগের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছি তারা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।#

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment