খুলনায় কলকাতা হারবাল কোম্পানীর অশ্লীল পোষ্টারের ছড়াছড়ি, চিন্তিত অভিভাবক মহল

ইমদাদুল হক মিলন,খুলনা।।

খুলনায় কলকাতা হারবাল কোম্পানীর বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান সম্বলিত পোষ্টারের ছেয়ে গেছে সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দেওয়াল। এমনকি বাসাবাড়ির দেওয়ালে লাগানো হয়েছে পোষ্টার গুলি। যা নিয়ে এলাকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর এসব অশ্লীল ও করুচীপূর্ণ পোষ্টারগুলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশদ্বার সম্মূখে লাগানো হয়েছে। এলাকার অনেকে মন্তব্য করেছেন, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আকৃষ্ট করার প্রয়াসে নাকি অন্য কিছু কারনে এগুলো লাগানো হয়েছে? আর যে কারনেই পোষ্টারগুলি লাগানো হোক অতি সত্তর এর প্রতিকারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে খুলনার কপিলমুনি বাজারের অলি-গলি ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি সদরে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে কলকাতা হারবাল মেডিকেয়ার লিঃ একাধিকবার পুরস্কার প্রাপ্ত হারবাল জগতের আই-ডল খ্যাত প্রতিষ্ঠান আপনাকে দিচ্ছে সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মুক্ত স্থায়ী চিকিৎসার স্লোগান সম্বলিত ও পুরস্কার প্রাপ্ত আখ্যা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে অশ্লীল ও কুরুচীপূর্ণ বাক্য ব্যবহার করে পোষ্টার ছাপিয়ে বিঙ্গাপন আকারে সাটানো হয়েছে কপিলমুনি বাজারের অলিতে-গলিতে এমনকি জনবহুল রাস্তার পাশের ওয়ালে। যা নিয়ে রীতিমত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এ সংক্রান্ত বিষয় আলাপ কালে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা বলেন, এসব কিছু কিছু কোম্পানী নতুন প্রজন্ম শুধু নয়, উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীসহ গোটা জাতিকে কলঙ্কিত করছে। আর এসব কোম্পানীর কারণে যুব সমাজ ধবংসের অন্তরায় বলে মনে করেন তারা। তবে কিভাবে এসব অশ্লীল ভাষা ব্যবহৃত কোম্পানীগুলি সরকারি ভাবে রেজিষ্ট্রেশন পায় তা বুঝিনা। কিন্তু দেখেছি এসব পোষ্টারের কোথাও নুন্যতম রেজিষ্ট্রেশনের কোন নাম্বার নাই। তাহলে এসব হারবাল কোম্পানীগুলো কিভাবে সারাদেশ ব্যাপী তাদের কার্যক্রম চালায়। এগুলো দেখার দায়িত্ববা কার? এক কথায় সামাজিক অবক্ষয় এরই মূল কারণ। সর্বপরী এলাকাবাসী প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি এ এলাকার সচেতন মহল কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হারবাল কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ম-কর্তাদের সচেতন হবার পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে কপিলমুনির ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হরেকৃষ্ণ দাশ বলেন, এসব কিছু কিছু বির্তকিত কোম্পানী আর্কষণীয় বিঙ্গাপনের মাধ্যমে পাবলিককে দৃষ্টি আর্কষণ করে থাকে। আর তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকে আর্থিক ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শারীরিক জীবনে ধবংস ডেকে আনে। তবে মন আকৃষ্ট করা বিভিন্ন কোম্পানীর বিঙ্গাপনে প্রতারিত না হয়ে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment