আদমদীঘিতে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

আদমদীঘিতে রাকিবুল ইসলাম নামের এক যুববকে ভাল চাকুরি দেয়ার নাম করে মালেশিয়া দেশে নিয়ে গিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বরং না খাইয়ে রেখে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় দেশে ফেরত পাঠিয়ে কৌশলে সাড়ে ৩লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের মা শিয়ালসন গ্রামের মাসুমা বেগম বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রবাসি কাদের তার স্ত্রী লিপি, ভাই মিজাুনর রহমান, শেফালি বেওয়া ও নাছরিনের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ কারিনী মোহাম্মাদ আলীর স্ত্রী মাসুমা বেগম জানান, তার ছেলে রাকিবুলকে মালেশিয়া নামক দেশে ভাল চাকুরি দেয়ার নাম করে বিবাদীগন পরস্পর যোগ সাজশে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে বিভিন্ন সময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে। এরপর তারা মালোশিয়া দেশে পাঠিয়ে দিলেও কোন প্রকার কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা না করে তারা গোপন স্থানে বসে রাখে। এর কারনে ছেলের খাবার টাকাও পাঠাতে হতো বাড়ী থেকে। কিছুদিন পর ওই দেশে থাকা বিবাদী কাদের রাকিবুলকে পুলিশে ধরিয়ে দিলে সে সাজা ভোগ করে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় গত ১২ জুন দেশে ফিরে। বিবাদীগন কৌশলে মালোশিয়ায় নিয়ে গিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করায় এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছেন বলে মাসুমা বেগমের দাবী। মালেশিয়া থেকে ফেরত আসা রাকিবুলকে বগুড়া শহীদ জিযাউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে ২৩ দিন চিকিৎসা করানো হলেও এখনও তার শরীরের করুন অবস্থা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। রাকিবুল জানায়, ওই দেশে অর্থ সংকটে পড়ে ক্ষুদার যন্ত্রনায় ভিক্ষাবৃত্তি করতে বাধ্য হয়ে ছিলাম। বিবাদী কাদের মালেশিয়া থেকে মুঠো ফোনে জানায়, তাকে কোন অবহেলা বা কর্মসংস্থান করা হয়নি এটা সত্য নয়। রাকিবুল অসুস্থতার কারনে দেশে ফেরৎ গেছেন। ঘটনা তদন্তকারি এএসআই তপন কুমার জানান, বিবাদী বিদেশে রয়েছে তা ছাড়া বাদী পক্ষের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আইনের আওতায় নেয়া সম্ভব হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment