সমস্যা যখন ঘুমের মধ্যে কথা বলা

আমাদের চারপাশে অনেকেই আছেন যারা ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। যে কোনও বয়সী নারী কিংবা পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি এটা দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। এটা খুবই সাধারণ এবং পরিচিত সমস্যা। এর জন্য সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ঘুমের মধ্যে জোরে বা আস্তে  কিংবা যে কোনও ভাবেই মানুষ কথা বলতে পারে। আবার কখনও বা চিৎকারও করতে পারে। যে সব মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে তারা সাধারণত নিজেদের সঙ্গেই কথা বলে। একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে , প্রতি দশজনের মধ্যে একজন শিশু প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার ঘুমের মধ্যে কথা বলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা কারণে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে। এর মধ্যে অনিদ্রা, জ্বর বা অসুস্থতা, অত্যাধিক মদ্যপান, মানসিক চাপ , দুশ্চিন্তা, অবসাদ, দিনের বেলাতেও ঝিমানোভাব, বিশেষ ওষুধ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

ঘুমের মধ্যে কথা বলা এড়ানোর বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-

১. সাধারণত ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা উচিত। এক্ষেত্রে অবশ্য নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম মানে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। যত কম ঘুম হবে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে।

২. মদ্যপান বা ক্যাফাইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষের ঘুমের মধ্যে কথা বলার  প্রবণতা বাড়ে। এ কারণে ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

৩.  মানসিক উদ্বেগের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে মনের চাপ কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা, মেডিটেশন, গান শোনা এইসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।

৪. অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য ঘুম হয় না। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কারণ ঘুম না হলে বা কম ঘুম হলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বেড়ে যাবে, শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment