কিডনির সংক্রমণ প্রতিরোধে যা করণীয়

মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে বৃক্ক বা কিডনি। শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া জরুরি। কিডনিতে সংক্রমণ বা ইনফেকশন মানবদেহের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে একটি। কিডনি সংক্রমণকে মূলত ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ, সমস্যা তীব্র না হওয়া পর্যন্ত কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলি তেমনভাবে প্রকাশ পায় না।যার ফলে অধিকাংশ সময়েই সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায় না। এতে রোগীর মৃত্যুর আশংকাও বেড়ে যায়। এ কারণে কিডনি সংক্রমণের উপসর্গগুলি জানা জরুরি।যেমন-

১. কিডনি সংক্রমণ হলে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় জ্বর হয়। সেই সঙ্গে তীব্র কাঁপুনিও দেখা দেয়।

২. বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া দেখা দেয়।

৩. খাদ্যে অরুচি বা অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভূত হয়।

৪. পিঠের নিচের অংশের একদিকে ও কুঁচকিতে ব্যথা হয়।

৫. ঘন ঘন প্রস্রাব আর প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করে। এছাড়া ঘোলাটে ধরণের প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও কিডনির সংক্রমণ প্রকাশ করে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

কিডনির সংক্রমণ প্রতিরোধের কয়েকটি উপায় রয়েছে।

১. বেকিং সোডা আমাদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অর্থাৎ মূত্রনালির অ্যালকালাইনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে কিডনি সংক্রমণের সমস্যা দূর করা সম্ভব।

২. প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে সংক্রমণের হাত থেকে কিডনিকে দূরে রাখা সম্ভব। রসুনের জীবাণুনাশক (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল) উপাদান কিডনির সুস্থতার জন্য দারুন কার্যকরী।

৩. অ্যালোভেরার রস কিডনির ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই কিডনি সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস অ্যালোভেরার রস পান করা উচিত।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment