মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ব্লগার বাচ্চু হত্যার সাথে জড়িত দুই জঙ্গী নিহত

 মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কাকা ওরফে বোমা শামিম (৪০) ও এখলাছুর রহমান (৩২) নামে দুই জঙ্গী নিহত হয়েছে। নিহতরা ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু হত্যার সাথে সারাসরি জড়িত। যে চার জন মিলে বাচ্চুকে হত্যা করেছে এই নিয়ে তিনজনই বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হল। এর আগে বন্দুকযুদ্ধে ব্লগার বাচ্চুর হত্যাকারী আব্দুর রহমান নিহত হন। বাকী আরেক জঙ্গীকেও পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় শ্রীনগর উপজেলার হাষাড়া কেসি রোডস্থ চেক পোস্টে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়। এ সময় দুই এসআই ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন এএসআই মাসুদ ও ইলিয়াস এবং কনস্টেবল তামিম। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুটি রাম দা, ১১টি তাজা ককটেল (হাত বোমা), একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন কাল রংয়ের রেঞ্জার মটর সাইকেল জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন জঙ্গীরা শ্রীনগর এলাকায় ডাকাতির জন্য আসছে। তাই দু’টি স্থানে চেক পোস্ট বসানো হয়। কেসি রোডের চেক পোস্টের সামনে দিয়ে দু’টি মোটর সাইকেলে চারজন আসতে ছিল। পুলিশ তাদের থামানোর সঙ্কেত দিতেই চেক পোষ্টে হাতবোমা এবং গুলি ছুরে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে একটি মোটার সাইকেলের দু’জন মাটিতে লুটয়ে পড়লেও অপর দু’জনই আরেকটি মটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। এই সময় পুলিশ ৫৮ রাউন্ড গুলি ব্যয় করে। পরে স্থানীয় শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ষোষণা করে। শুক্রবার বেলা ১২টায় পুলিশ সুপার তাঁর কার্র্যাললয়ে ব্রিফিং করে পুরো ঘটনা তুলে ধরে বলেন, এই সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। পালিয়ে যাওয়া দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ সুপার জানান, গত ১৩ জুন ব্লাগার শাজাহান বাচ্চু হত্যা মূল পরিকল্পনা কারী ছিল বোমা শামীম ওরফে কাকা। আর সকল অস্ত্রের যোগানদাতা ছিল এখলাস। তারা দু’জনই পুরনো জেএমবির সদস্য। শামীম এই গ্রুপের বোমা তৈরী করতো। তাই তাকে বোমা শামীম বলা হত। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। ব্লগার বাচ্চুকে হত্যার জন্য এখলাস নিজে বালুর চরে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করেছে এবং সকল আগ্নেয়াস্ত্র বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। হত্যাকান্ডের পর সে নিজেই অস্ত্রগুলো গাজীপুরে নিহত রহমানের নিকট পৌছে দেয়। নিহত শামীম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার লৌক্ষা গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের পুত্র এবং এখলাছ জামালপুরের খামার পাড়া গ্রামের মো গিয়াস উদ্দিনের পুত্র

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment