সমুদ্রে ট্রলার ডুবি ৩ জেলের সন্ধান মেলেনি, স্বজনদের আহাজারি সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিপুরণ দাবি

 কাজী মাহফুজা ইসলাম পাথরঘাটা প্রতনিধিঃ

 গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের সময় এমভি নাফিসা জাহান নামে কিলিংকার বাহি  একটি বাণিজ্যিক বড় জাহাজের সাথে সংঘর্ষে ডুবে যাওয়া এফবি স্বাধীন -৩ নামের ট্রলারের মালিক ও নিখোঁজ ৩ জেলেদের পরিবার গতকাল পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে নিখোঁজ জেলেদের জীবিত উদ্ধার এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময়ে উপস্থিত থাকা নিখোঁজ জেলে মো. বাবুল (৫০), দিপু (১৪) ও আ. খালেক (৫৬) এর স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিখোঁজ জেলেদেরকে তাদের স্বজনেরা এখনো ফিরে পাওয়ার আশা করছেন। ট্রলার মালিক মোস্তফা মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সোমবার (১০ সেপ্টে¤¦র) ভোরে শরণখোলা রেঞ্জের জেলে পল্লী দুবলা টহল ফাঁড়ি হতে প্রায় ২০ কি.মি. দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে তার মালিকানা এফবি স¦াধীন-৩ ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরার জন্য অবস্থান করেন। এমন সময় পিছন দিক থেকে বেপরোয়াভাবে আসা ‘নাফিসা জাহান’ নামের একটি বাণিজ্যিক বড় জাহাজ ট্রলারটিকে ধাক্কা মারলে সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যায় । ডুবে যাওয়ার কয়েকঘন্টা পর ১২জন জেলের মধ্যে নৌবাহিনীর বিএনএস তুরাগ নামের একটি টহল জাহাজ ভাসমান ৯ জনকে উদ্ধার করলেও পাথরযাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের মো. বাবুল হাওলাদার, দিপু হালদার, আ. খালেক জোমাদ্দারকে উদ্ধার করতে পারেনি নৌবাহিনী। এতে ডুবে যাওয়া ট্রলারে আহরনকৃত ইলিশসহ ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান, গত মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছি। সংশিলিষ্ট শরণখোলা থানায় লিখিতভাবে জানালেও এখন পর্যন্ত মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। নিখোঁজ ৩ জেলে জীবিত উদ্ধারসহ ঘাতক জাহাজের ক্যাপ্টেন ও মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপুরন আদায়ের দাবি জানান তিনি। দীর্ঘ ৬দিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ৩ জেলেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার ফয়সাল জানান, তাদের উদ্ধারে নৌবাহিনী জাহাজ তুরাগ, মেঘনা, নিশান ও একটি হেলিকপ্টার দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে। এদের সন্ধানে সমুদ্রে নৌবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি। অঃঃধপযসবহঃং ধৎবধ

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment