ছাতক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পুটিয়া নদীর সীমানা বিরোধ নিস্পত্তির পথে

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ

পুটিয়া নদীর সীমানা নিয়ে ছাতক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দু’গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবশেষে নিস্পতির দিকে গড়াচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার সালিশ- বৈঠকের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সীমানা বিরোধ নিস্পত্তি ঘটবে বলে সালিশকারীসহ স্থানীয় লোকজন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধূরী বকুল, ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান, পূর্বপাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের মধ্যস্থতায় উভয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার ছাতকের বড়কাপন আটগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে সালিশ-বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। পুটিয়া নদীর দখল প্রক্রিয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উভয় এলাকার লোকজনের মধ্যে চলছিল রণ প্রস্তুতি। তবে নিস্পত্তির স্বার্থে একটি পক্ষের কাছ থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন মধ্যস্থতাকারীরা। যার ফলে বৃহস্পতিবার সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পতিতে সম্মতি দেয় উভয় পক্ষ। উল্লেখ্য দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পূর্বপাগলা ইউনিয়নের বেতকুনা ও ছাতক উপজেলার বড়কাপন আটগ্রাম এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া পুটিয়া নদীর সীমানা নিয়ে দু’এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সরকারী ১নং খতিয়ান ভুক্ত দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পিঠাপই চক মৌজার ৭৫ নং দাগে পুটিয়া নদী। আবার একই খতিয়ানভুক্ত ছাতক উপজেলার বড়কাপন মৌজার ৬০ ও ২৮৯ নং দাগেও পুটিয়া নদী। দু’উপজেলার দু’মৌজার ভিন্ন দাগে পুটিয়া নদীর অবস্থান থাকায় নদী পাড় সংলগ্ন বেতকুনা ও বড়কাপন আটগ্রামের লোকজন নদীর সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বিএডিসির উদ্যোগে ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ করা হলে পুটিয়া নদীর ভোগ-দখল বিরোধ চরম আকার ধারন করে। কিন্ত বেতকুনা গ্রামের লোকজন নদীর দখল এককভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করলে গত কদিন ধরে উভয় এলাকার লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছিল টানটান উত্তেজনা ও রণ প্রস্তুতি।##

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment