‘প্রকৌশলী সমাজকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে’- চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ বর্ণাঢ্য আয়োজনে যন্ত্রকৌশল (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিদায় ও বরণ উৎসব ‘মেকানিক্যাল ডে-২০১৮’ উদযাপিত হয়েছে। বিভাগটির ‘১৩তম ব্যাচের বিদায় এবং ‘১৭ তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার), ২০১৮ খ্রিঃ সকাল ১১ ঘটিকায় যন্ত্রকৌশল বিভাগের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালির মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় শিক্ষার্থীরা নেচে-গেয়ে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন সহযোগে ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলে। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীও অংশগ্রহণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহম্মদের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল ডে-২০১৮ এর আহবায়ক ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম রানা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অরিয়ন গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব অনুপ কুমার সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নির্দেশনায় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ল্যাবরেটরি সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। চুয়েটেও প্রতিটা বিভাগে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির ল্যাবরেটরি সুবিধা রয়েছে। অনুমোদিত ৩২০ কোটি টাকার ডিপিপিতে শুধু যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আরো আন্তরিক ও যতœবান হতে হবে। তবেই দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে সমাজ দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। চুয়েট ভিসি আরো বলেন, চুয়েটে গত ২ বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা অন্য কোন প্রতিকূল পরিবেশের কারণে একটা দিনও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়নি। তবুও শিক্ষার্থীরা যদি তাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার বিলম্বিত করে তবে তারা নিশ্চিতভাবে চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়বে। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম আরো বলেন, বর্তমান ডিজিটাল সময়ে ছেলেমেয়েরা লাইব্রেরি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা চুয়েট কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীরা চাইলে এসব ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারে। আমাদের লাইব্রেরির ডিজিটাল ভার্সনে প্রচুর ই-বুক রয়েছে। প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। এর আগে উৎসবের প্রথমদিন যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে মর্যাদাপূর্ণ মেকানিক্স অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্ব শুরু হয়। উৎসবের প্রথমদিন অনুষ্ঠিত হয় ক্যাড প্রতিযোগিতা, সলিড-ওয়ার্ক প্রতিযোগিতা, রুবিক্ধসঢ়;স কিউব প্রতিযোগিতা, অ্যাকুয়েস্টিক নাইট প্রভৃতি। এছাড়া সমাপনী দিনের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- বিদায় ও বরণ পর্ব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জমজমাট কনসার্ট প্রভৃতি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment