প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সিরাজদিখানে তালবীজ রোপন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজদিখান উপজেলায় তাল ও খেজুরের বীজ রোপন কর্মসূচী প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালন করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মালখানগর ইউনিয়নের কাজীরবাগ, গোড়াপীপাড়া, নাটেশ^র ও রথবাড়ি গ্রামের আড়াই কি.মি. রাস্তায় বনবিভাগের ন্যায় রাস্তার ঢালে তিন স্তরে তালের বীজ রোপন করা হয়। এ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১০ হাজার তালবীজ পর্যায়ক্রমে রোপন করা হবে। তাচারা তাল গাছ লম্বা হওয়ায় ঘূর্নিঝড় ও বজ্রপাতসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্জের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ দেশের ব্রিটিশরা যখন ফ্রিকোয়েন্সি মেপে মেপে জমির মৌজা পিলার দিয়েছিল। সেই পিলার গুলো জমির সঠিক পরিমাপের পাশা পাশি বজ্রপাত ঠেকাতে সাহায্য করত। কিছু অসাধু কুচক্রী মহল পিলার গুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় এখন বজ্রপাতে অনেক প্রানহানীর ঘটনা ঘটছে। এই প্রানহানী রোধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তাল ও খেজুর বীজ/চারা রোপন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচীতে সিরাজদিখানে ৪ হাজার ৫ শত তালবীজ সংগ্রহ করে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ সিএ আবু তাহের, এক হাজার বীজ দিয়েছেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা ও অর্ধশত বীজ দিয়েছেন সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সদস্য মুন্সীগঞ্জ কাগজ প্রতিনিধি সেলিনা ইসলাম। এ কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তালবীজ রোপনের পূর্বে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হারিয়ে যাওয়া তাল ফল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে রেখে যাওয়া ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষার জন্য উচু গাছ হিসেবে তালবীজ রোপন করার নির্দেশনা দিয়েছেন । সিরাজদিখান উপজেলার ডিকেআইবি এর সাধারণ সম্পাদক উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাল ও খেজুরের বীজ রোপন কৃষক পর্যায় একটি সামাজিক আন্দলনে রূপনিয়েছে। কৃষকেরা নিজেরা তাল ও খেজুরের বীজ রোপনের পাশাপাশি আমাদের বীজ দিয়ে সাহায্য করছেন। সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, আজকে চারশটিসহ মোট ৭০০ তাল বীজ ও ১০০টি খেজুরের বীজ মালখানগর ব্লকে কৃষকদের সহযোগিতায় রোপন করা হয়। ডিকেআইবি মুন্সীগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান বলেন, তালগাছ বজ্রপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার পাশা পাশি তাল ফল থেকে মুখরোচক খাবার তৈরী হয়। তাছারা তালের রস খেতে যেমন সুসাধু এবং এই রসদিয়ে গুড়,তাল মিশ্রিও তৈরী করা হয়।তাল বীজ কাচা অবস্থায়ও তালের শাস খুব সুসাধু। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর সিরাজদিখান উপজেলায় ৪২টি ব্লকে ৮হাজার চার শতটি তালের বীজ/চারা রোপনের লক্ষ মাত্রা ছিল। সেখানে আমরা ১০হাজার তালের বীজ সংগ্রহ করেছি এবং এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫ শতটি রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি তালের বীজ রোপন সম্পন্ন হবে। এছারা এ পর্যন্ত ২ হাজারটি খেজুরের বীজ/চারা রোপন করা হয়েছে। তালবীজ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায়, প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসেন, উপজেলা পরিষদ সিএ আবু তাহের, মালখানগর ইউপি মহিলা সদস্য মিমি আক্তার, ইউপি সদস্য হযরত আলী খান, ইউপি সদস্য কোরবান আলী প্রমুখ। #

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment