হাঁপানি তীব্র হলে কী করবেন?

হাঁপানি তীব্র হলে কী করবেন?

অ্যাজমা বা হাঁপানির একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। তীব্র হাঁপানির সময় দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। না হলে রোগ জটিল হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তীব্র হাঁপানির সময় করণীয়  

  • হাঁপানির তীব্র আক্রমণ মানে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। যখন শ্বাসকষ্ট তীব্র হবে, তখন শিশুদের ক্ষেত্রে স্পেসার দিয়ে এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সরাসরি ইনহেলার কিংবা অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে নেবুলাইজারের মাধ্যমে উপশমকারী ওষুধ (যেমন : সালবিউটামল) শ্বাসে নিতে হবে।
  • তীব্র শ্বাসকষ্টের সময় শিশুদের ক্ষেত্রে গায়ে হাত না দিয়ে কথা বলে সান্ত্বনা দিতে হবে। রোগীকে সোজা হয়ে কিংবা সামান্য হেলান দিয়ে বসাতে হবে। সিনথেটিক পোশাক খুলে দিতে হবে। পোশাক ঢিলেঢালা করে দিতে হবে। খুলে দিতে হবে ঘরের জানালা।
  • উপশমকারী ওষুধ কাজ করতে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময়  লাগে, তাই শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে আসতে অন্তত ১০ মিনিট সময় নেবে।

 

কখন জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে?

  • উপশমকারী ওষুধ ব্যবহারের ১০ মিনিটের মধ্যে শ্বাসকষ্ট না কমলে।
  • শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে কথা বলতে কষ্ট হলে। হাঁটতে কষ্ট হলে।

 

এটি একটি জরুরি অবস্থা। এ অবস্থায় রোগীকে এমন হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে, যিনি রোগী সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন।

হাঁপানি তীব্র অবস্থা অতিক্রম হওয়ার পর রোগীকে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হবে এবং উপদেশ মেনে চলতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment