বাংলাদেশ দলের মেডিকেল বুলেটিন

বাংলাদেশ দলের মেডিকেল বুলেটিন

গতকালও অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়ে আঙুল থেকে প্রায় দুই সিরিঞ্জ পুঁজ ও দূষিত রক্ত বের করিয়েছেন। আপাতত অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার মধ্যে রয়েছেন। এভাবে আরও সাত দিন পর সংক্রামকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন ডাক্তার গ্রেগ হয়ের কাছে চিকিৎসা নিতে। তিনি সামনাসামনি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, পরবর্তী অস্ত্রোপচার দরকার হবে কি-না। তবে পুরোপুরি ফিট হতে অন্তত এক মাস লাগবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা

তর্জনী ও কনিষ্ঠ আঙুলে চোট আছে। কনিষ্ঠ আঙুল কিছুটা মচকে গেছে। দুই সপ্তাহ পর ওই আঙুলের ব্যান্ডেজ খোলার পর পরবর্তী অবস্থা বোঝা যাবে। এ ছাড়া ঊরুতে বলের আঘাতে রক্ত জমে আছে। শুরুতে সেটা টিউমার বলে আশঙ্কা করা হলেও মেডিকেল রিপোর্টে তেমন কিছু আসেনি। তিন সপ্তাহের বিশ্রামে ঊরুর রক্ত জমাট বাঁধা জায়গাটি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এরই মধ্যে এক সপ্তাহ হয়ে গেছে।

মুশফিকুর রহিম

পাঁজরে চিড় আছে, ট্রমাও আছে। যে কোনো ধরনের হাড়ে চিড় থাকলে সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগে সুস্থ হতে। তবে পাঁজরে আঘাত লাগলে সময়টা আরও দুই সপ্তাহ বেশি লাগতে পারে। আপাতত বিশ্রামে মুশফিক। তবে এক সপ্তাহ পর মেডিকেল পর্যবেক্ষণে বোঝা যাবে, পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতিটা কী হবে।

তামিম ইকবাল

বাঁ হাতের কব্জিতে চোট রয়েছে। লন্ডনে গিয়ে ডাক্তার ডেভিড ওয়ারউইকের পরামর্শ নিয়েছেন। চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের রিহ্যাবে আছেন তিনি। জিমে বিশেষ একটি সেশন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২৫ অক্টোবরের পর পরবর্তী পর্যবেক্ষণে বোঝা যাবে, কবে নাগাদ তিনি ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে ফিরতে পারবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment