পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ।।

 পটুয়াখালী সংবাদদাতা, ০৮ অক্টোবর ২০১৮।।

কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের হাটখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. কুদ্দুস আলমের বিরুদ্ধে পঞ্চশ শ্রেনীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। গত দু’সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও শিক্ষার্থীর মা উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শ্লীলহানীতার শিকার ওই শিক্ষার্থী জানায়, ঘটনার দিন স্কুল শেষে তাকে কথা শোনার জন্য স্কুলে থাকতে বলে শিক্ষক কুদ্দুস আলম। পরে শ্রেনী কক্ষে নিয়ে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনার পর শিক্ষার্থী বাড়ী গিয়ে তার মা’কে ঘটনাটি খুলে বললে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তারা ঘটনাটি অস্বীকার করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ঘটনার বিচার দাবী করে। শিক্ষার্থী আরো জানায়, শিক্ষক কুদ্দুস ওই স্কুলের আরো শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে, যা তারা লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. কুদ্দুস আলমের কাছে ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন, তবে একাধিকবার তার মোবাইলে কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.রেজাউল করিম জানান, শিক্ষার্থীর কথা শুনে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার সাথে জড়িত। তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। স্কুলের সভাপতি মো. সবুজ প্যাদা জানান, ঘটনাটি সত্য। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল আহম্মেদ জানান, বিষয়টি শিক্ষার্থীর মা এবং লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে জানিয়েছেন। তিনি অচিরেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম জানান, এ ধরনের অপরাধের সাথে কোন শিক্ষক জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment