মামুন মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাবিবপুরের জিয়ারুল ইসলাম জিয়ার এক মাস নিখোজের পর দেহাবহাশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর তার দেহাবশেষ উদ্ধারে এলাকায় রহস্য বিরাজ করে। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত আইজেল মন্ডলের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম জিয়া(৩৮) বাড়ি থেকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময় বাড়ি থেকে কাজের উদ্যেশে রওনা হয়। পরবর্তীতে জিয়া আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ সাম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কিন্তু এ পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ- উৎকন্ঠা বিরাজ করে। এমতাবস্থায় আজ বুধবার সকাল ১০ টায় হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমে একটি কাঠাল বাগানে জিয়ারুলের পরিহিত জামাকাপড় ও দেহাবশেষ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে দেহাবশেষ উদ্ধারে সক্ষম হয়। এদিকে এই নিখোঁজের ব্যাপারে প্রতিবেশীদের দাবি ঘটনার দিন জিয়া বাড়িতে শিশুদের মারপিটের ঘটনায় অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজন সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও এপর্যন্ত তার কোনো হদিশ মেলেনি। এব্যাপারে জিয়ার স্ত্রী শুকজান খাতুন বলেন,আমার দুটি শিশু সন্তান আছে। ঘটনার দিন তাদেরকে মারপিটের ঘটনায় আমার স্বামী জিয়া অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেই থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি করে এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তার পরিহিত জামাকাপড় দেখে আমারা সনাক্ত করি যে এই জামাকাপড় জিয়ারুলের। এবিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া জানান পারিবারিক সম্পর্কের জের ধরে জিয়ারুল এর আগেও কয়েকবার অভিমান করে দু এক মাস নিখোজ ছিল। এবং পরবর্তীতে আবার ফিরে আসতো। সে পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। গত একমাস আগেও সে বাড়িতে ঝগড়া করে বেড়িয়ে যায় এবং আর ফিরে আসেনি। এবিষয়ে জীবননগর থানায় তার বিষয়ে কোন সাধারন ডায়েরীও করা হয়নি। আজ সকালে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আ:কাদের ফোন করে জানান হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমে একটি বাগানে মানুষের কঙ্কালের অংশবিশেষ ও জামা লুঙ্গী পড়ে আছে। খবর পেয়ে আমি ও তদন্ত ওসি মোল্লা সেলিম সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মানুষের কঙ্কালের অংশ বিশেষ উদ্ধার করি। এবং নিখোজ জিয়ারুলের স্ত্রী তার স্বামীর লুঙ্গী ও জামা দেখে সনাক্ত করে এগুলো জিয়ারুলে জামাকাপড়। এ বিষয়ে তদন্ত ওসি মোল্লা সেলিম জানান আমরা উদ্ধারকৃত কঙ্কালের অংশ বিশেষ ঢাকায় ডি এন এ পরীক্ষার জন্য পঠানো হবে বলে জানান।