ফটিকছড়িতে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু!

মোস্তাফা কামরুল, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

ফটিকছড়িতে অাবিদা সুলতানা প্রমি (২৫) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে পাইন্দং ইউনিয়ের হাইদচকিয়া গ্রামের চৌং বাড়ির মরহুম খোরশেদ মাষ্টারের ঘর থেকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে। নিহত অাবিদা সুলতানা চৌধুরী বাড়ীর মরহুম খোরশেদ মাষ্টারের সৌদি প্রবাসী ছেলে অাবু তৈয়বের স্ত্রী। নিহতের ভাই কাজী তমাল ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার দেবর মুবিন ফোন করে জানান যে, অামাদের বোন স্ট্রোক করে মারা গেছে। অামরা তাৎক্ষণাৎ ছুটে গিয়ে দেখি তার গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত দাগ এবং তারা তড়িগড়ি করে কাপন-দাপনের ব্যবস্থা করছে। অামরা সাথে সাথে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে থানায় যায়।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বোনের বিয়ে হয়েছে প্রায় অাট বছর। প্রায়ই শ্বাশুড়ী এবং দেবররা তাকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। অামাদের সন্দেহ হচ্ছে, গভীর রাতে শ্বাশুড়ী এবং তিন দেবর মিলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত সুলতানার সাথে শ্বাশুড়ী ও সাহদাত (৩২) ও তার স্ত্রী, মুবিন (৩৪), সাজ্জাদ (২৮) নামে তিন দেবর একই সাথে বসবাস করত। ঘটনার পর থেকে দেবর সাহদাত ও মুবিন পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার এস.অাই মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে অাসি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বাশুড়ী, ঝাঁ ও এক দেবরকে অাটক করে থানায় নিয়ে অাসা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’ জানা যায়, নিহত অাবিদা সুলতানা প্রমি হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট ধলই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়ার কাজী হেলাল উদ্দিনের প্রথম মেয়ে। দীর্ঘ অাট বছর পূর্বে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ের হাইদচকিয়া গ্রামের চৌং বাড়ির মরহুম খোরশেদ মাষ্টারের প্রথম পুত্র অাবু তৈয়বের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। Attachments area

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment