রাসেল আহমেদ, কুবি প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পাশকৃত ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হওয়ার বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধসহ ক্যাম্পাসের আশেপাশে দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাচ্ছে স্থানীয়রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন মেনে নিতে পারছে না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলের স্থানীয়রাও চাচ্ছে না এই প্রকল্পের নতুন ২০০ দশমিক ২২ একর ভূমি তিন কিলোমিটার দূরে অধিগ্রহণ করা হোক। তারা মনে করছে এটা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের একটি চক্রান্ত। ক্যাম্পাসের নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ ক্যাম্পাসের আশেপাশেই করা হোক এমনটাই চাচ্ছে স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ২০০ দশমিক ২২ একর জমি ক্যাম্পাসের পাশে না নিয়ে তিন কিলোমিটার দূরে কেন নেওয়া হচ্ছে এর প্রতিবাদে রবিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সকল যান চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করে স্থানীয়রা। যাতে সকালের নাস্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন কাজে প্রতিবন্ধকতার শিকার হোন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর না করে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভূমি নিয়ে উন্নয়ন করার আহবান জানান এবং তারা সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শালবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে বলে জানা যায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাস দ্বিখন্ডিত করার প্রতিবাদে সকাল ১১টায় এক মানববন্ধনের আয়োজন করবে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১তম সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে প্রকল্পের জন্য ব্যয়িত অর্থের অনেকাংশই ব্যয় হবে ২০০ দশমিক ২২ একর ভূমি অধিগ্রহণে। ভূমি অধিগ্রহণে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৭, ৯, ১২ এবং ১৩ নং মৌজার অন্তর্ভুক্ত জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ১২ ও ১৩ নং মৌজা হচ্ছে রাজারখলা গ্রামের মৌজা। যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
