‘তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়াই ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা’

‘তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়াই ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা’
ড. কামাল, মির্জা ফখরুলদের সাত দফা দাবি সাংবিধানিক শুন্যতা সৃস্টি করে তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাদের এই দাবির মূল কথা হচ্ছে সংসদ বাতিল করতে হবে। সংসদ বাতিল করলে বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক শুন্যতা সৃস্টি হবে। এতে অপশক্তি কিংবা তৃতীয় শক্তির অাবির্ভাব ঘটার একটা সুযোগ তৈরি হবে। সুতরাং তারা নির্বাচন চায় না। তারা দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী ও অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী অপশক্তিদের নিয়ে গঠিত ঐক্য ফ্রন্টের সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও দেশবাসী’ শীর্ষক সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কথায় কথায় বলেন তিনি সংবিধানের প্রণেতা। প্রকৃতপক্ষে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির একজন হিসেবে তিনি কাজ করেছিলেন। আর তিনি আজকে সংবিধান বহির্ভূত কথা বলছেন।
ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক নয়, তিনি এখন বিএনপির প্রকৃত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন প্রকৃতপক্ষে জাতীয় ঐক্যের নামে তারেক রহমান আর খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে বিএনপির চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করছেন। আজকে এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।
ড. কামাল হোসেনের সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা মানুষের উপর পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, যারা একুশে অাগস্টের গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছে, যারা মিথ্যে জন্মদিন পালন করে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ কোনো ভাবেই হবে না। এই সংলাপের কোনো ভিত্তি নাই এবং এই সংলাপের কোনো প্রয়োজন নাই। সুতরাং, সংলাপ যদি দরকার হয় এবং তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তারা কথা বলতে পারে। সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে না। নির্বাচনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেই সরকার থাকবে, সেই সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ পরিচালনা করবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারের একজন থানার এসআই ট্রান্সফার করারও ক্ষমতা থাকবে না। সুতরাং আপনাদের যদি কোনো আলাপ অালোচনা থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন। আওয়ামী লীগকে চিঠি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। এ সমস্ত চিঠি দিয়ে আপনারা জনগণকে ধোকা দিতে চাচ্ছেন।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যের নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ছয় কিংবা সাত সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়িকা ফারহানা আমিন নতুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment