সেলফির হিড়িক পড়ে রেললাইনে

সেলফির হিড়িক পড়ে রেললাইনে

সেলফি ও ছবি তোলার হিড়িক পড়েছে রেললাইনে। ছবি: এএফপিসেলফি ও ছবি তোলার হিড়িক পড়েছে রেললাইনে। ছবি: এএফপিদুই পাশে ঘরবাড়ি, মাঝখান দিয়ে সরু পথ বেয়ে গেছে রেললাইন। আর সেই রেললাইনে পর্যটকদের হিড়িক পড়েছে সেলফি তোলার। দুর্দান্ত ও আকর্ষণীয় সেলফি তুলতে দর্শনার্থীরা ছুটে যান সেখানে। যে স্থানের কথা বলা হচ্ছে, সেটা হলো ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের প্রাণকেন্দ্র ওন্ড কোয়ার্টার এলাকা।

এই স্থানকে ঘিরে রীতিমতো গড়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ। সেখান থেকে দর্শনার্থীদের সরবরাহ করা হয় গরম কফি ও ঠান্ডা বিয়ার। যদিও জায়গাটা ঝুঁকিপূর্ণ, তবু পর্যটকদের আনাগোনা বেশ নজর কাড়ার মতো। ঔপনিবেশিক যুগে ফরাসিরা এই রেলপথ নির্মাণ করেছিলেন। ট্রেন আসার শব্দ শুনলেই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দর্শনার্থীরা রেললাইনের দুপাশে জড়সড় হয়ে যান, কেউবা আবার হামাগুড়ি দিয়ে বসে পড়েন। খুব কাছ থেকে ট্রেনের শব্দ আর ভয়মিশ্রিত রোমাঞ্চটা উপভোগ করেন এখানে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।ছবি তোলায় ব্যস্ত এক তরুণী। ছবি: এএফপিছবি তোলায় ব্যস্ত এক তরুণী। ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার পর্যটক মাইকেল রিচার্ড সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ওই মুহূর্তটা অসাধারণ, একই সঙ্গে ভীতিকর। ট্রেন এত কাছ দিয়ে যায় যে খানিক ভয় ও আনন্দ অভিভূত করে দিয়ে যায়।

সাবেক ফরাসি শাসকদের নির্মিত রেলপথটি ভিয়েতনামের মধ্য দিয়ে চীনের একটি অংশ হয়ে লাওস ও কম্বোডিয়ায় পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখনো মিটার গেজ রেলপথটি সক্রিয় রয়েছে। কম খরচে এই পথে পর্যটক ও ভ্রমণকারীরা গন্তব্যে ছোটেন।

হংকংয়ের পর্যটক অ্যাডওয়ার্ড সিম বলেন, ‘ওই স্থানটা সত্যিই উদ্ভূত অনুভূতির জন্ম দেয়। আপনি বেলকনি থেকে হেলে পড়া ফুলের ছোঁয়া পাবেন। পুরোনো ভবন ও বাড়িগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে লাগা। ট্রেনলাইনের সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের বসবাস।’ছবি তুলছেন তাঁরা। ছবি: এএফপিছবি তুলছেন তাঁরা। ছবি: এএফপি

এখানে যাঁরা আসেন, সুন্দর দৃশ্য ধারণের জন্য তাঁরা প্রত্যেকে হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে মুখিয়ে থাকেন। সেলফিবন্দী করতেও দর্শনার্থীদের ভীষণ ব্যস্ত দেখা যায়।

ব্রিটিশ পর্যটক পল হার্দিম্যান বলেন, ‘আমি ক্রিসমাসের মতো কিছু একটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি যখন সেখানে গেলাম, সেটা ছিল দুর্দান্ত অনুভূতি, কিংবা তার চেয়ে আরও কিছু।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment