চিঠি দেব না, ডাকলে সংলাপে যাব: সেলিম

চিঠি দেব না, ডাকলে সংলাপে যাব: সেলিম

একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বহুল আলোচিত সংলাপ শুরু হচ্ছে।  এরপর শুক্রবার সংলাপে বসবে বিকল্পধারা। সংলাপে বসতে আগ্রহ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পর ওই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এদিকে সংলাপে আগ্রহ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে  চিঠি দিয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। চলমান সংলাপের প্রক্রিয়া নিয়ে নিয়ে বুধবার বিকেলে সমকাল অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এটা একটা ভাল পদক্ষেপ, তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সংলাপের চেয়ে সরকারকে চিঠি দিতে হবে কেন, সরকারতো আন্তরিকভাবেই সব দলকে সংলাপে ডাকতে পারে। কারণ আমরা অনেকদিন ধরেই সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছি, নতুন করে চিঠি দিতে হবে কেন। তবে আমাদের ডাকলে আমরা সংলাপে যাবো। বাম জোটকে সংলাপে ডাকা হলে আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ ছিল।

সংলাপ চেয়ে যারা চিঠি দিয়েছে কিংবা যাদের সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা সরকারের ঘরণার লোক। বাংলাদেশে একমাত্র বামপন্থী দলগুলো ভিন্ন চিন্তা করে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ এখনো তাদের ভোটের অধিকার পায়নি। মানুষের মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের কথা আমরাও বলে আসছি। সরকার কর্ণপাত করেনি। আমরা গণমানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমরা সরকারের লাঠিপেটার শিকার হচ্ছি বার বার। আমরা কী চাই সরকার তা জানে। আনুষ্ঠানিকভাবে বলার কিছু নেই। সংলাপের উদ্যোগ নিতে হয় সরকারকে। বাস্তবায়নেও ভূমিকা থাকে সরকারের। সরকার এখনও আমাদেরকে সংলাপের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দেয়নি। তবে আমরা সংলাপের বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ করব।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ চার-দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। দাবিগুলো হচ্ছে- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেওয়, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment