ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের পদটি খালি পড়ে আছে। সিনেটের ডেমোক্র্যাটরাই এ পদে মনোনয়ন আটকে রাখার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ ট্রাম্প এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর।
খাশুগজি হত্যাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে জটিল কূটনৈতিক আবহের প্রেক্ষাপটে এ শূন্যপদ পূরণের তাগিদ দেখা দেয়। অবশেষে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন দেন ট্রাম্প। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জন আবিজাইদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। চূড়ান্ত নিয়োগ পেতে আবিজাইদকে এখন সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে।
আবিজাইদ ইরাক যুদ্ধে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা হিসাবে সুপরিচিত। বর্তমানে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে কন্সালটেন্সি করা ছাড়াও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুভার ইন্সটিটিউশনে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
জন আবিজাইদ লেবানিজ বংশোদ্ভূত এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। তিনি মধ্যপ্রাচ্য বিষয়েও বিশেষজ্ঞ। মার্কিন মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন তিনি। এরপর তিনি জর্ডানে আরবি বিষয়ে লেখাপড়া করেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে মাস্টার্স করেন।
৬৭ বছর বয়সী জন আবিজাইদকে এমন সময় মনোনয়ন দেওয়া হলো যখন সাংবাদিক খাশোগি হত্যা নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে বিভিন্ন দেশের। সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন নিতে হবে জন আবিজায়েদকে। ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই প্রথম সৌদিতে রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন দিলেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রদূত জোসেফ ওয়েস্টফালের মেয়াদ শেষ হয়।