বাংলাদেশে মি-টু ঝড়, মডেল প্রিয়তিকে যৌন হেনস্তা রফিকুলের!

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড ও মডেল মাকসুদা আখতার প্রিয়তির এক স্ট্যাটাসে ভারতের পর বাংলাদেশেও ‘মি-টু’ ঝড় বইতে শুরু করেছে। যেখানে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়ে রফিকুলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়তি। এবং বলেছেন এ বিষয়ে তার হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আওয়ামীপন্থি রফিকুল ইসলাম রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

গত ২৯ অক্টোবর সোস্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে মি-টু আন্দোলনের ঝড় তোলেন প্রিয়তি।

জানা যায়, বছর তিনেক আগে রফিকুলের কোম্পানির একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর নিজের পারিশ্রমিক আনতে গিয়েছিলেন প্রিয়তি। সেই সময় রফিকুল অফিসেই তাকে যৌন নির্যাতন করেন। প্রিয়তি নিজেই ফেসবুকে দেয়া ভিডিও বার্তা ও স্টাটাসে এমন অভিযোগ করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

মাকসুদা প্রিয়তি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেন, ২০১৫ সালের মে মাসে রফিকের অফিসে তিনি গিয়েছিলেন তাদের প্রোডাক্ট প্রমেক্সের বিজ্ঞাপনে কাজ করার পারিশ্রমিক আনতে।

তিনি রফিকের রুমেই বসা ছিলেন। এ সময় সেখানে বসা ছিলেন রংধনু গ্রুপের জেমরিনা জামানও। প্রিয়তির সাথে ব্যক্তিগত কথা আছে, জানিয়ে রফিক জেমরিনা জামানকে রুম থেকে বের করে দেন। এরপরই রফিক তার টেবিল থেকে ওঠে এসে মাকসুদা প্রিয়তির সাথে অসভ্যতা শুরু করেন। তাকে তিনি যৌন হেনস্তা করেন।

প্রিয়তি অভিযোগ করেছেন, সেদিনের ঘটনার পর মুখ না খোলার জন্য বেশ কয়েকবার প্রিয়তিকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন রফিক। প্রিয়তি তার স্ট্যাটাসে বলেন, ঘটনার সময় তিনি রফিকের হাত থেকে কোনো মতে নিজেকে রক্ষা করেন এবং রুম থেকে বাইরে এসে জেমরিনা জামানকে পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন এবং তাকে জড়িয়ে হাউমাউ করেও কেঁদেছিলেন। ঘটনাটি তিনি সুজনকে জানিয়েও কেঁদেছিলেন বলে স্টাটাসে উল্লেখ করেন প্রিয়তি।

প্রিয়তি জানান, এ ঘটনা নিয়ে আইরিশ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি, যা ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment