সাভারে এক কিশোরীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি, গণধর্ষণ মামলা, গ্রেপ্তার -১

 মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (রুবেল)

ঢাকার সাভার কলমা থেকে ১৫ বছরের কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফরিদপুর নিয়ে গণধর্ষণ এর অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ শে অক্টোবর ওই কিশোরীকে দক্ষিন কলমার এক বখাটে যুবক ফরিদপুরের গোয়ালন্দ এলাকায় নিয়ে কয়েকজন মিলে গনধর্ষণ করে জানান পুলিশ। ধর্ষণের পর গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয় ওই কিশোরীকে। কিশোরীর পিতা সুজন মিয়া সাভার থানায় ২৩ শে অক্টোবর নিখোঁজের একটি সাধারন ডায়েরী করেন। কলমা এলাকার এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ওই যৌনপল্লীতে মাঝে মাঝে ভিক্ষা করতে যেতেন, প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক কিশোরীকে দেখতে পেয়ে নিখোঁজ মেয়েটির সন্ধান দেয় পরিবারকে। সুজন মিয়া ১০ দিন পর মেয়ের সন্ধান পান দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে। মেয়ের সন্ধান পেয়ে গত ৩ নভেম্বর ফরিদপুর গোয়ালন্দ থানার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল গনি ও মুক্তি মহিলা সমিতির মাধ্যমে যৌনপল্লী থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন । ভয়ংকর এই ঘটনা জানতে পেরে সাভারের এক গণমাধ্যম কর্মি কলমা এলাকায় গিয়ে পরিবার ও ওই কিশোরীর সাথে কথা বলে সকল বিষয়ে অবগত হয়। ১১ নভেম্বর এক গণমাধ্যম কর্মি একজন সিনিয়ার সাংবাদিককে ঘটনাটি অবহিত করলে তিনি আইনি সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেয় পরিবারকে এবং মামলা করতে সহযোগীতা করেন। কিশোরীর পিতা সুজন মিয়া ১১ নভেম্বর সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে গণধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্পব দাস। গণধর্ষণের শিকার কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ১৩ নভেম্বর ঢাকার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ। ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএফএম সায়েদ এর নির্দেশে (১৪ নভেম্বর) সকালে ডিবি পুলিশের এসআই মোহাম্মদ গনি কলমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আহম্মদকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানার হস্তান্তর করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment