অনলাইনে সুরক্ষিত ৪ লাখ শিক্ষার্থী

অনলাইনে সুরক্ষিত ৪ লাখ শিক্ষার্থী

দেশজুড়ে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখ শিক্ষার্থী এবং ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জন করেছে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মসূচি ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’।

এ বছরের জুন মাসে গ্রামীণফোন, টেলেনর গ্রুপ ও ইউনিসেফের যৌথ অংশীদারিত্বে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচি। এ চুক্তির মূলে ছিলো নিরাপদ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সচেতনতা তৈরি করা এবং চাইল্ড হেল্পলাইন (১০৯৮) সেবার বিস্তৃতি; যেখানে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি পরামর্শ সুবিধাও রয়েছে।

অসাম্য দূরীকরণে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১০ – এর প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতির কারণেই শিশুদের অনলাইনে নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে গ্রামীণফোন ও টেলেনর গ্রুপ।
সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নীতি নির্ধারকরা নিরাপদ ইন্টারনেটের এ উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে প্রশংসা করেন।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাবা-মা, শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে শিশুদের সুরক্ষিত করা এবং তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুরা অনলাইনে কি করছে সে বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার এবং অনলাইনে যেকোনো ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তাদের নিরাপদে রাখতে তারা অনলাইনে যেসব বিষয়বস্তু দেখছে বা জানছে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। সবার জন্যই নিরাপদ ইন্টারনেট।’

বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে ধারণা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘তরুণদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যত নিহিত। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল রাজ্যে তাদের সুরক্ষিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইন্টারনেট অপরিহার্য। এবং একইসাথে এটা সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের শিশুরা ইন্টারনেটে নানা প্রতিকূল অবস্থার পাশাপাশি, অনলাইনে নিরাপদ থাকার গুরুত্ব নিয়ে সচেতন।’

এ মাইলফলক নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা এবং সর্ববৃহৎ মোবাইল আইএসপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্ল্যাটফর্মে সঠিক ডিজিটাল পরিবেশে আমাদের শিশুদের সম্পৃক্ত করতে এবং তাদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমাদের নিরাপদ ইন্টারনেটের বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করে যেতে হবে। সবার জন্য নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সচেতনতা তৈরিতে অবশ্যই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment