নির্বাচনে গুজব ঠেকাতে সারা দেশে মিডিয়া সেল: মনিরুল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই যেকোনও ধরনের গুজব বন্ধ ও তথ্য সংগ্রহ করতে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিডিয়া সেল করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ‘জাতীয় নির্বাচন : গুজব ও সহিংসতা প্রতিরোধে সম্প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে— সেখান থেকে গণমাধ্যম তথ্য পাবে। গুজব ঠেকাতে সকলকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান সিটিটিসি প্রধান।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ ও বিদেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।’

এই গুজব রোধে শুধু পুলিশ প্রশাসনই নয়, গণমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভর না করে একাধিক মাধ্যম থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ বা প্রচারের পরামর্শ দিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।

মনিরুল বলেন, ‘গুজব দু’রকম হয়। এক, ইনোসেন্ট গুজব। এ রকমের গুজবে দেখা যাচ্ছে- চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন কিংবা এটিএম শামসুজ্জামান, নায়ক রাজ্জাক মারা গেছেন। যদিও তা সত্য নয়। এতে করে সহিংসতার সম্ভাবনা নেই। আরেক ধরনের গুজব হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা ইনটেনশনালি মিথ্যে তথ্য প্রচার করা। এটাই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছি। এর উৎসগুলো যদি খুঁজি, দেখবো- ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেইসবুক টুইটার ও ইউটিউবের মাধ্যমে। আরেকটা হলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল।’

কাউন্টারর টেরোরিজম প্রধান বলেন, ‘বিগত দিনে দেখেছি- গুজবের কারণে অনেক সময়ই সহিংসতা ও নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পরে দেখা গেছে তা সিস্টেমেটিক উপায়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচারের চেষ্টা ছিল। সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে। এমন গুজব প্রচার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এমন তথ্য যাচাই করার ব্যবস্থা গণমাধ্যমে থাকা উচিত। সিএনই, চিফ রিপোর্টার কিংবা সম্পাদক ফিল্টারিং করবেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ছবি তুলতে দেবেন না। কারণ নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনি যা দেখবেন তাই বলতে পারেন। কিন্তু মনগড়া কিছু বলতে পারবেন না। আর কোনোভাবে প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না যে, সব পুলিশ ঠিক করে দেবে। মানুষের একটা মনস্তাত্বিক দিক হচ্ছে গুজব বা মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করা। যিনি যা ভাবছেন সেরকম কিছু পেলেই তা প্রকাশ করছেন সোস্যাল মিডিয়ায়।’

এক্ষেত্রে বিশেষ করে বিশ্বস্ত লোকজনের আরও সজাগ ও সহনশীল হবার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশ এর প্রধান ও এসএটিভির অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর এমএম বাদশার সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক ছিলেন- সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, চ্যানেল২৪ এর বার্তা প্রধান রাহুল রাহা, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিএনই আশীষ সৈকত ও এসএটিভির সিএনই ফেরদৌস মামুন প্রমুখ।

 

https://www.youtube.com/watch?v=r5eiQBTN1y8

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment