কুড়িগ্রামে থেকে হারিয়ে যাচেছ দেশি আটিয়া কলা

মমিনুল ইসলাম বাবু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

 কুড়িগ্রামের প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাচে আগে প্রচুর আটিয়া কলা পাওয়া যেত কিন্তূ এখন আর আগের মত আটিয়া কলা চোখে পড়েনা।আগে গ্রামবাংলার প্রতিটি গ্রাম বা মহলায় আটিয়া কলার আমদামী বেশী হওয়ায় এর দামও অনেক সস্তা ছিল।আগে এক হালি আটিয়া কলা মাত্র ৫ থেকে ৭ টাকায় পাওয়া যেত। কিন্তূ আটিয়া কলার আমদানি বর্তমানে কম হওয়ার কারনে এর মুল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন এক হালি আটিয়া কলার মুল্য ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কিছুদিন আগেও গ্রামবাংলায় অনেকে সখের বসে আটিয়া কলা চাষ করতো।আটিয়া কলা রুপসী গ্রামবাংলার আনাচে কানাচে ,পুকুর পাড়ে,বসত ভিটায়,পতিত জমিতে আটিয়া কলার থোপ বা ঝাড় পাওয়া যেত। এখন এই আটিয়া কলার থোপ বা ঝাড় দিনদিন বিলীন হয়ে যাচেছ। কারনগুলো হচেছ আটিয়া কলার থোপ বা ঝাড় ,পতিত জমি পরিষ্কার করে সেখানে বসত বাড়ী নিমাণ করা হচেছ। গ্রামবাংলার প্রতিটি মানুষের প্রিয় খাবার ছিল এই আটিয়া কলা। রুপসীগ্রামবাংলায় আগে বারমাসে সকাল বেলা চাউল ভাজার গুড়া আর আটিয়া কলার নাস্তা খেত। গ্রামবাংলার কৃষকরা সকাল বেলা পান্তা ভাতের সাথে আটিয়া কলা খেয়ে লাঙ্গল চোয়াল আর মই ও হালের বলদ নিয়ে মাঠে যেত।চন্দখানা গ্রামের স্হানীয় বাসিন্দ শ্রী হরিবোলা(৭৭) দৈনিক ডেসটিনিকে জানান যে,সমসাময়ীক সময়ে আটিয়া কলার থোপ বা আটিয়া কলার ঝাড় দিয়ে পরিপূর্ণ ছিলআটিয়া কলার ভেতর অনেক বিচি থাকার কারনে এই কলাকে বলা হয় বিচি কলা।আটিয়া কলার ভিতরে অনেক বিচি থাকায় অনেকে এই কলা খেতে পারতো না। আটিয়া কলা গাছে পরিপক্ক হয়ে পেকে গেলে তা বাদুর আর পাখির খাবার হত। গ্রামবাংলার কবিরাজদের মতে আটিয়া কলা স্বাস্হের জন্য খুবই উপকারি।অপর দিকে মালভোগ কলা চিনিচামপা কলাও ২০ থেকে ২৫ টাকায় এক হালি কলা বিক্রি হচেছ। মালভোগ কলা চিনিচামপা কলা পাকানোর জন্য বা সংরক্ষনের জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হচেছ,য়া সাস্থের জন্য ক্ষতিকর।তাই সচেতন ব্যক্তিরা আটিয়া কলার প্রতি দিনদিন আগ্রহী হচেছ ।সেই সাথে সাথে আটিয়া কলার কদরও বাড়ছে। হয়তোবা নতুন প্রজম্ম অদূর ভবিষ্যতে আটিয়া কলার নামও বলতে পারবেন।এভাবে কালের আবতনে হারিয়ে যেতে বসেছে আটিয়া কলা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment