কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

বৃহদান্ত্রের কোষগুলো অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলেই তা কোলন ক্যান্সারে রূপ নেয়। এটা নারী বা পুরুষ যে কারও হতে পারে। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি দেখা যায। সাধারণত অন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী পলিপ, দীর্ঘস্থায়ী আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ, ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে কোলন ক্যান্সার হতে পারে।

কোলন ক্যান্সারের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন-

১. পায়খানার সঙ্গে রক্তপাত

২. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

৩. দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

৪. তীব্র পেটব্যথা

৫. রক্তশূন্যতা

৬. সব সময় বমি বমি ভাব

কোলন ক্যান্সার প্রাণঘাতি হলেও কিছু খাবার এবং নিয়মের মাধ্যমে মারাত্মক এই রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। গবেষকদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৪৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে যেসব বিষয় মেনে চলা জরুরী-

১. নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের ব্যায়াম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে।

২. ৪০ বছর বয়স পেরনোর পর প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ধূমপানের কারণে। এ কারণে ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

৩. বেশি পরিমাণে লাল মাংস (রেড মিট) খেলে পেটের সমস্যা হয়, বৃহদান্ত্রের চর্বি বৃদ্ধি পায়। যা থেকে কোলন ক্যান্সার হতে পারে। তাই কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে  লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া কমিয়ে দিন।

৪. পেটে অতিরিক্ত মেদ জমলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তাই পেটের মেদ ঝরাতে চেষ্টা করুন খাদ্যাভাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে।

৫. হজমশক্তি ঠিক রাখতে নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। তাই যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান।

৬. গ্রিন টিতে অনেক ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । তাই কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৭. কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করা প্রয়োজন।এ কারণে এই জাতীয় খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment