শামীম ইসলাম,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইলে মিস কল দেয়ার পর ভুল নম্বরে কল গিয়েছে বলে স্ত্রী ও দুই সন্তান গোপন রেখে প্রেম করে রোকসানা পারভীন নামে এক জেডিসি পরীক্ষার্থীকে প্রতারকের বিয়ের ঘটনায় উপজেলা জুরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আদালতে এফিডেভিট করে নাউতারা ইনিয়নের নাউতারা গ্রামের জামিনুর রহমান জীবন (২৮) স্ত্রী সন্তান থাকার পরও বিয়ে করেন জডিসি পরীক্ষার্থী রোকসানা পারভীনকে। রোকসানা পারভীন টেপাখরিবাড়ী ইনিয়নের দক্ষিন খরিবাড়ী গ্রামের রশিদুল ইসলামের কন্না। চলতি বছর ও দক্ষিন খরিবাড়ী মুনসিপাড়া দাখিল মাদ্ধসঢ়;রাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। যাহার রোল- ৪৬১১৮৯। এদিকে স্বামীর গোপন বিয়ের সংবাদ পেয়ে সেখানে হাজির হন জীবনের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার রুমা (২৪), প্রতিবন্ধী কন্না জান্নাতুল আক্তার জেমি (৮)ও ছোট কন্না মিনহা (১)। ২০০৮ সালের নাউতারার রমজান আলীর পুত্র জামিনুর রহমান জীবনের সাথে পার্শবর্তী ডোমার উপজেলার মেলা পাংগা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল কাদেরের কন্না সাবরিনা আক্তার রুমার বিয়ে হয়। রুমা বলেন বিয়ের পর সংসার ভালই চলছিল। গত ৮ মাস থেকে আমাদের সংসারে অশানÍী চলে আসছিল। আমার স্বামী জীবন লম্পট চরিত্রের। জয়পুর হাট জেলা সদরের ১ম স্ত্রী শোভা বেগম থাকার পর আমার সাথে মোবাইলে সম্পর্ক করে তোলেন। বিয়ের আগে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১০ বছর পর আবারো মিসকল দিয়ে প্রেম করে গোপনে রোকসানকে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়ে প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে নিয়ে থান্ধাসঢ়; আদালতে বিচার প্রার্থনা করে আসছি। এ ব্যাপারে রোকসানা পারভীন বলেন, ৬ মাস আগে একদিন ফোনে মিসকল আসল রিং দিলাম বলল রং নাম্বার আপনার বাড়ী কোথায়,কি করেন। এভাবে ৬ মাস প্রেমের পর গত ২৫ অক্টোবর নীলফামারীর আদালতে এফিডেভিট এর মাধ্যমে জীবন আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর আমি জেডিসি পরীক্ষা দেই। আমি জানতাম না জীবন বিবাহিত। হঠাৎ জীবনের স্ত্রী ও দুই কন্না আমাদের বাড়ীতে আসলে সকলে হতবাক এটা কি করে সম্ভব স্ত্রী সন্তান থাকার পরও প্রতারক আমাকে বিয়ে করল। একাধিক বিবাহিত প্রতারক জামিনুর রহমান জীবন বলেন, আমি তো আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেছি প্রতারনা করিনি। তাছারা ১ম স্ত্রী ৮ মাস থেকে বাপের বাড়ীতে থাকে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
