মনোনয়নবঞ্চিতদের বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পথ রোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে তিনি বের হয়ে যাওয়ার সময়।
এ সময় প্রায় রাত তিনটা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে ফখরুলের পথ ছেড়ে দেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে মনোনয়নবঞ্চিত নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার, চাঁদপুরের এহছানুল হক মিলনের অনুসারীরা সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে ভাঙচুর করেন।
তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন এবং ইটপাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অনেকেই ফটকের সামনে শুয়ে বিক্ষোভ করছেন। এরপরই মাঝরাতে কার্যালয় থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।
মাইকে ঘোষণায় বলা হয়, ‘প্রিয় নেতা-কর্মীরা, আপনারা আগামীকাল (রোববার) সকাল ১০টায় আসবেন। কাল সকালে মনোনয়ন বিতরণ করা হবে। কেউ কোনো ঝামেলা করবেন না। সবাই চলে যান।’
ঘোষণায় আরো বলা হয়, ‘সবাই দয়া করে শুনুন, এটা আমাদের সবার অফিস। আজকে কোনো মনোনয়ন বিতরণ করা হবে না, কারও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দয়া করে কেউ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।’
মধ্যরাতের দিকে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গেট ভেঙে তারা কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করে। গেটের অপর পাশ থেকে সিএসএফের (চেয়ারপার্সনস সিকিউরিটি ফোর্স) কর্মকর্তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
