ইন্দোনেশিয়ায় ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৯ জনে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুন্দা প্রণালীর আশেপাশের এলাকায় আঘাত হানা ওই সুনামিতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ইনডিপেডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সুনামিতে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সর্বশেষ মাটির নিচ থেকে পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরউ নুগরোহো জানিয়েছেন, ১৪শ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি জানান, জীবিতদের সন্ধানে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সমুদ্রের নিচে ভূমিধসই এই সুনামির সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করছে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা আরও জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই প্যানডেগলাং, দক্ষিণ ল্যাম্পাং ও সেরাং অঞ্চলের বাসিন্দা।
এদিকে ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাতের কারণে নতুন করে আবারও সুনামির আশঙ্কা করে এই আগ্নেয়গিরির কাছে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদেরকে সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত কিছু গ্রামে রাস্তা, পথঘাট ও সেতুগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে; সেখানে কেউ আহত বা আটকা পড়েছেন কিনা তা পৌঁছে নির্ণয় করা যাচ্ছে না।