‘বোমা তৈরি তো প্রায় কুটিরশিল্প হয়ে গেছে’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যেই উদ্বেগ দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে।

সুন্দরবন লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বৃহস্পতিবার তার এ বক্তব্য আসে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদাধিকারীদের উপস্থিতিতে মমতা বললেন, ‘বোমা তৈরি তো প্রায় কুটিরশিল্প হয়ে গেছে। সে  সব উদ্ধার করা হচ্ছে কি?’

এই প্রসঙ্গেই এই অঞ্চলের সাত-আটটি থানার নাম করেই পুলিশকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। বোমা তৈরি যে ‘কুটিরশিল্প’ হয়ে উঠেছে, এমন অভিযোগে বিরোধীরা সরব। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও কিছুটা সেই সুর ধরা পড়ল।

জয়নগরের দলীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষের গাড়িতে হামলার ঘটনায় সম্প্রতি তিনজন খুন হয়েছিলেন। এদিন মমতা পুলিশি ব্যবস্থা পর্যালোচনায় সেই ঘটনার জন্য সরাসরি কৈফিয়ত চান জয়নগরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘এত বড় একটা হামলা হল, পরিকল্পনা হল, আপনারা কিছু জানতে পারলেন না কেন? পুলিশ কী করে?’

মঞ্চে তখন স্বরাষ্ট্র সচিব-সহ রাজ্য পুলিশের পরামর্শদাতা, ডিজি-সহ জেলার সব কর্তারাই উপস্থিত। কেউই অবশ্য এই প্রশ্নের জবাব দেননি। তার আগে অবশ্য ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ব্যাপারেও খোঁজ নেন মমতা।

এ নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী এই অঞ্চলের বাসন্তী, ক্যানিং, গোসাবা, কুলতলি, মন্দিরবাজার ও পাথরপ্রতিমার মতো এলাকা নিয়ে উষ্মা জানান। তিনি বলেন, ‘এই জায়গাগুলির অনেক রকম ইতিহাস রয়েছে। বলে রাখছি, আর যেন কোনও ঘটনা না ঘটে।’

তারপরই কুলতলি থানার ওসি বলার চেষ্টা করেন, সম্প্রতি একটি বোমা তৈরির কারখানার হদিশ তারা পেয়েছেন। বোমা উদ্ধারের কাজও চলছে। কিন্তু এর পরেই ওই আধিকারিককে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে যে তিনি তার জবাবে সন্তুষ্ট নন।

বিরোধী থাকাকালীন দীর্ঘদিন রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে জোরদার আন্দোলন করেছিলেন মমতা। এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও একইরকম উদ্বেগ ছিল তার গলায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment